আপনি কি মাল্টা যেতে চান? বাংলাদেশ থেকে অনেকে মাল্টা যেতে চান কিন্তু তারা যানেন না কিভাবে মাল্টা যেতে হয় এবং যেতে কতো টাকা খরচ হয়। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনার বিষয় হলো বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে এবং যাওয়ার উপায় নিয়ে।
মাল্টা, ইউরোপের একটি ছোট কিন্তু সুন্দর দেশ, উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন এবং কাজের জন্য জনপ্রিয় একটি গন্তব্যস্থল। এটি প্রাচীন স্থাপত্য, সুন্দর সৈকত, এবং উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, পর্যটক, এবং কর্মজীবীরা মাল্টায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বিবরণ তুলে ধরব, যা আপনাকে আপনার ভ্রমণ বা উচ্চ শিক্ষার পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে হলে খরচের প্রধান তিনটি অংশ রয়েছে: ভিসা, যাতায়াত, এবং থাকার খরচ। মাল্টার ভিসার জন্য সাধারণত ৮০ ইউরো বা প্রায় ৯,৫০০ টাকা খরচ হয়, যা ভিসা প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ আরও কিছুটা বাড়তে পারে
বিমানের টিকিটের দাম ঋতু এবং এয়ারলাইনসের উপর নির্ভর করে, যা সাধারণত ৬০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। মাল্টায় থাকার জন্য দৈনিক খরচ প্রায় ৫০ থেকে ১০০ ইউরোর মতো, যা বাংলাদেশি টাকায় ৬,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার মতো হতে পারে। রাজধানী ভ্যালেটা বা অন্যান্য প্রধান শহরে এই খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে।
মাল্টায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চাইলে অতিরিক্ত খরচের বিষয়গুলোও বিবেচনা করতে হবে, যেমন টিউশন ফি এবং আবাসন খরচ। মাল্টায় উচ্চ শিক্ষার জন্য টিউশন ফি সাধারণত ৬,০০০ থেকে ১৫,০০০ ইউরোর মধ্যে হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭,০০,০০০ থেকে ১৭,০০,০০০ টাকা।
আবাসনের জন্য মাসিক খরচ সাধারণত ৩০০ থেকে ৭০০ ইউরোর মধ্যে থাকে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকার মতো। মাল্টায় কাজের উদ্দেশ্যে গেলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রায় ২৭৫ ইউরো বা ৩২,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে, যা আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। মাল্টায় আপনি উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, বা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস প্রস্তুত করা প্রয়োজন। মাল্টার ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এবং যাত্রার সময় এই কাগজপত্রগুলো আপনাকে জমা দিতে হতে পারে। নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা দেওয়া হলো:
- পাসপোর্ট: আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, যা কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে এবং এতে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফর্ম: মাল্টার ভিসার জন্য নির্দিষ্ট আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে, যা আপনি মাল্টার দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি: ভিসার জন্য সাধারণত ২-৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হয়। ছবিগুলো সাম্প্রতিক এবং নির্দিষ্ট মাপের হওয়া উচিত (সাধারণত ৩.৫ সেমি x ৪.৫ সেমি)।
- ফ্লাইট টিকিটের কনফার্মেশন: আপনার যাত্রার জন্য কনফার্মড রিটার্ন ফ্লাইট টিকিটের একটি কপি জমা দিতে হবে।
- আবাসনের প্রমাণ: মাল্টায় অবস্থানকালে আপনার থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রমাণ জমা দিতে হবে, যেমন হোটেল বুকিং কনফার্মেশন বা যেখানে থাকবেন তার ইনভাইটেশন লেটার।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: মাল্টায় আপনার অবস্থানকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য থাকার প্রমাণ দিতে হবে। এজন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পে স্লিপ, বা স্পন্সর লেটার জমা দিতে হতে পারে।
- ভ্রমণ বীমা: শেঞ্জেন ভিসার জন্য একটি বৈধ ভ্রমণ বীমা করাতে হবে, যা পুরো শেঞ্জেন অঞ্চলে কভারেজ দেবে এবং কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত মেডিক্যাল কভারেজ প্রদান করবে।
- ইনভাইটেশন লেটার (যদি প্রযোজ্য হয়): আপনি যদি কোনো ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কারণে মাল্টায় যাচ্ছেন, তবে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি ইনভাইটেশন লেটার জমা দিতে হবে।
- কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ডকুমেন্টস: যদি কোনো বিশেষ কোভিড-১৯ নির্দেশনা থাকে, যেমন টিকা সনদ, কোভিড পরীক্ষা রিপোর্ট ইত্যাদি, তা জমা দিতে হতে পারে।
- শিক্ষা বা কাজের ডকুমেন্টস (যদি প্রযোজ্য হয়): যদি আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছেন, তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভাইটেশন লেটার জমা দিতে হবে। কাজের জন্য গেলে কর্মসংস্থান চুক্তি বা ওয়ার্ক পারমিটের কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এই কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত করে জমা দিলে আপনার মাল্টার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং যাত্রার সময় কোনো সমস্যা হবে না।
অনলাইনে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন
অনলাইনে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। মাল্টার ভিসা সাধারণত শেঞ্জেন ভিসা হিসেবে প্রাপ্ত হয়, যা অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব। নিচে অনলাইনে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন: অনলাইনে ভিসার আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো (যেমন পাসপোর্ট, ছবি, ফ্লাইট বুকিং, আবাসনের প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি) স্ক্যান করে প্রস্তুত করুন।
2. অনলাইন ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করুন: মাল্টার ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন করতে আপনাকে শেঞ্জেন ভিসার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করার জন্য আপনাকে মাল্টার দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, VFS Global এর মাধ্যমে এই ফর্ম পূরণ করতে হয়।
- VFS Global Malta সাইটে গিয়ে “Apply for Visa” নির্বাচন করুন এবং ফর্মটি পূরণ করুন।
- আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্টের তথ্য, এবং ভ্রমণের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
3. ডকুমেন্টস আপলোড করুন: আবেদন ফর্ম পূরণের পর, স্ক্যান করা কাগজপত্রগুলো নির্ধারিত ফর্মে আপলোড করতে হবে। প্রতিটি ডকুমেন্ট সঠিকভাবে স্ক্যান এবং আপলোড করতে নিশ্চিত হোন।
4. ভিসা ফি প্রদান করুন: অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। ভিসা ফি পরিশোধের জন্য ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। ফি জমা দেওয়ার পর একটি রসিদ পাবেন, যা পরবর্তী ধাপের জন্য প্রয়োজন হবে।
5. অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন: অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন আঙুলের ছাপ এবং ছবি) দেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। VFS Global এর মাধ্যমে আপনি এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারেন। আপনি ঢাকার VFS Global অফিসে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
6. অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনে উপস্থিত হন: নির্ধারিত দিনে সমস্ত ডকুমেন্টসের মূল কপি এবং ভিসা ফি রসিদসহ VFS Global অফিসে উপস্থিত হতে হবে। সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
7. ভিসা প্রসেসিং এবং রিসাল্ট: ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর, আপনার আবেদন প্রসেসিং হবে এবং প্রক্রিয়া শেষে আপনি ইমেইলের মাধ্যমে ভিসার ফলাফল জানতে পারবেন। ভিসা অনুমোদিত হলে আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প দেওয়া হবে।
এভাবে অনলাইনে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন করে আপনি ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারেন। সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃমামলা থাকলে বিদেশ যাওয়া যায় কি না, জানুন
মাল্টা কাজের বেতন কত?
মাল্টায় কাজের বেতন বিভিন্ন পেশা, দক্ষতা, এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত, মাল্টায় একটি গড় বেতন মাসে ১,২০০ থেকে ২,৫০০ ইউরোর মধ্যে হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ এবং উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবীদের বেতন আরও বেশি হতে পারে, যা মাসে ৩,০০০ ইউরো বা তারও বেশি হতে পারে। ন্যূনতম বেতন প্রায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন সেক্টরে যেমন আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, এবং নির্মাণে বেতনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: মাল্টায় ৬ মাস থাকা যাবে কি?
উত্তর: মাল্টায় ৬ মাসের বেশি থাকতে চাইলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সাধারণত, পর্যটক ভিসা দিয়ে মাল্টায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়। যদি আপনি ৬ মাস বা তার বেশি সময় মাল্টায় থাকতে চান, তাহলে আপনাকে কাজ, পড়াশোনা, অথবা পরিবারের সদস্য হিসাবে থাকার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: মাল্টা ভিসা পেতে কত দিন লাগে?
উত্তর: মাল্টার ভিসা পেতে সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে এটি ভিসার ধরন, আপনার আবেদন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন ঠিকমত জমা দেওয়ার উপর নির্ভর করে।
উপসংহার
মাল্টা একটি দুর্দান্ত গন্তব্য যেখানে আপনি উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, বা কাজের জন্য যেতে পারেন। বাংলাদেশের যে কেউ মাল্টায় যাওয়ার পরিকল্পনা করলে তাকে টিউশন ফি, যাতায়াত খরচ, এবং অন্যান্য ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
এই খরচগুলো আপনাকে একটি সঠিক বাজেট তৈরিতে সহায়তা করবে। মাল্টার মনোরম পরিবেশ, আধুনিক জীবনযাত্রা, এবং উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে।
আজকের আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে
এবং বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা। আশাকরি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আপনার উপকৃত হবেন।
আর ও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে মোনাকো যাওয়ার উপায়
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন wikiofpro@gmail.com ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |