বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ (ভিসা প্রসেসিং, আবেদন)

স্পেন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশ। এর প্রাচীন স্থাপত্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে। বাংলাদেশের নাগরিকদের স্পেন ভ্রমণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা ও খরচ সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কীভাবে যাওয়া যায় এবং সম্ভাব্য খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে আলোচনা করা যাক বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়ে!

স্পেন যেতে কত টাকা লাগে

 

বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ 

বাংলাদেশ থেকে স্পেন ভ্রমণের খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন, বিমান টিকিটের মূল্য এবং স্পেনে থাকার ব্যবস্থার ওপর। সাধারণত, ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি প্রায় ৮০ ইউরো হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯,০০০ টাকার মতো।

বিমানের টিকিটের মূল্য ভ্রমণের সময় এবং এয়ারলাইনের ওপর নির্ভর করে ৫০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। স্পেনে গিয়ে প্রথম কয়েকদিন থাকার জন্য হোটেল বা অন্য কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে হলে এর জন্য অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হবে, যা ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়াও, স্পেনে যাওয়ার আগে আপনার স্বাস্থ্য বীমা করতে হবে, যা ভিসা আবেদনের জন্য বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য বীমার খরচ সাধারণত ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

অন্যান্য ছোটখাটো খরচ যেমন, যাতায়াতের খরচ, ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি, এবং খাবারের খরচও বিবেচনা করতে হবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে গড়ে ১,০০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

বাংলাদেশ থেকে স্পেন ভ্রমণের জন্য শেনজেন ভিসা প্রয়োজন, এবং ভিসার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নিচে স্পেন ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো:

১. পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম

শেনজেন ভিসার জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি অনলাইনে বা দূতাবাস থেকে পাওয়া যায়। ফর্মটি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

২. পাসপোর্ট

  • পাসপোর্টের বৈধতা ভিসা আবেদন করার তারিখ থেকে অন্তত ৩ মাস বেশি থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • পুরানো পাসপোর্ট থাকলে সেটিও জমা দিতে হবে।

৩. ছবি

  • দুটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (৩.৫ x ৪.৫ সেমি)।
  • ছবিগুলো সাম্প্রতিক হতে হবে, এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা।

৪. ভ্রমণ পরিকল্পনা

  • স্পেনের জন্য আপনার ফ্লাইট বুকিং বা টিকিটের রিজার্ভেশন।
  • যাতায়াতের সঠিক পরিকল্পনা, যেমন স্পেনে কবে যাবেন এবং কবে ফিরবেন তার বিস্তারিত বিবরণ।

৫. স্বাস্থ্য বীমা (ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স)

  • ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স পলিসি যা পুরো শেনজেন অঞ্চলে বৈধ।
  • ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় কাভার করতে হবে, যা জরুরি চিকিৎসা এবং দেশে ফেরানোর খরচ বহন করবে।

৬. আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ

  • আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সর্বশেষ ৬ মাসের
  • যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ থাকতে হবে, যাতে প্রমাণ হয় আপনি স্পেনে থাকার সময় আপনার খরচ বহন করতে পারবেন।
  • যদি কেউ স্পন্সর করেন, তবে তার আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ এবং স্পন্সরশিপ লেটার লাগবে।

৭. হোটেল বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা

  • স্পেনে থাকার জন্য হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ বা অন্য কোনও থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ (যেমন বন্ধু বা আত্মীয়ের আমন্ত্রণ পত্র)।

৮. কাজের প্রমাণপত্র

  • কর্মচারী হলে: আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির চিঠি, কর্মস্থল ছুটির অনুমোদন পত্র।
  • ব্যবসায়ী হলে: ব্যবসার নিবন্ধন সনদ এবং সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন।

৯. আমন্ত্রণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)

  • যদি স্পেনে কোনও বন্ধু বা পরিবারের সদস্য আমন্ত্রণ জানান, তবে তাদের কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হবে।
  • আমন্ত্রণপত্রে তাদের পরিচয়, স্পেনে তাদের ঠিকানা এবং আপনার স্পেনে থাকার সময়ের তথ্য থাকতে হবে।

১০. বিবাহ বা জন্ম সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)

  • যদি পরিবারের কোনও সদস্যের সাথে ভ্রমণ করেন বা তাদের কাছে যাচ্ছেন, তবে বিবাহ সনদ বা জন্ম সনদ প্রয়োজন হতে পারে।

১১. আয়কর রিটার্নের কপি

  • সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি বা ট্যাক্স সনদ

১২. কভার লেটার

  • একটি কভার লেটার লিখতে হবে, যেখানে আপনি স্পেনে কেন যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন, এবং পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা উল্লেখ করবেন।

এই কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত করে জমা দিলে শেনজেন ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

অনলাইনে স্পেন ভিসার জন্য আবেদন

বাংলাদেশ থেকে স্পেনের শেনজেন ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে অনলাইনে স্পেন ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

ধাপ ১: ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ

অনলাইনে স্পেন ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য প্রথম ধাপ হচ্ছে শেনজেন ভিসার আবেদন ফর্ম পূরণ করা। এটি করতে আপনি স্পেন দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ভিসা প্রসেসিং সেন্টার যেমন BLS International এর মাধ্যমে করতে পারেন। আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

ধাপ ২: অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা

স্পেন ভিসার জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য স্পেন ভিসা প্রসেসিং সাধারণত BLS International দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে।

BLS International-এর ওয়েবসাইটের লিঙ্ক: https://blsspainvisa.com

অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার ধাপ:
  1. BLS International ওয়েবসাইটে যান।
  2. “Schedule an Appointment” অপশনে ক্লিক করুন।
  3. আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভিসার ধরন এবং অন্যান্য তথ্য দিন।
  4. আপনার পছন্দের সময় ও দিন বেছে নিন এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন।

ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা

আপনার ভিসার জন্য আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম।
  • পাসপোর্ট (বৈধতা থাকতে হবে ভিসা আবেদনের তারিখ থেকে ৩ মাস বেশি)।
  • ছবি (২ কপি)।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স।
  • ফ্লাইট বুকিং এবং থাকার ব্যবস্থার প্রমাণ।
  • আয়কর রিটার্ন এবং অন্যান্য কাগজপত্র।

ধাপ ৪: ভিসা ফি প্রদান

স্পেন ভিসার জন্য ভিসা ফি দিতে হবে, যা অনলাইনে বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রদান করতে পারেন। শেনজেন ভিসার ফি প্রায় ৮০ ইউরো (প্রায় ৯,০০০ টাকা)। অন্যান্য সার্ভিস চার্জ সহ মোট খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।

ধাপ ৫: আবেদন কেন্দ্রে কাগজপত্র জমা দেওয়া

অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার পর নির্দিষ্ট দিনে BLS International-এর অফিসে গিয়ে আপনার কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকবে। এছাড়াও, বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ এবং ছবি) প্রদান করতে হবে।

ধাপ ৬: ভিসা প্রসেসিং ও সিদ্ধান্ত

কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে, আপনার আবেদন প্রসেস করা হবে। সাধারণত ১৫-৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। আবেদন প্রক্রিয়ার সময় আপনি অনলাইনে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

ধাপ ৭: পাসপোর্ট সংগ্রহ

আপনার ভিসা আবেদন গৃহীত হলে, আপনি একটি মেসেজ বা ইমেইল পাবেন, যেখানে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার সময় এবং স্থান উল্লেখ থাকবে। BLS International থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট গ্রহণের অপশনও রয়েছে।

স্পেন কাজের বেতন কত?

স্পেনে কাজের গড় বেতন আপনার কাজের ধরণ, অভিজ্ঞতা এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, একজন চাকুরিজীবীর মাসিক গড় আয় প্রায় ১,২০০ থেকে ২,৫০০ ইউরোর মধ্যে হতে পারে। দক্ষ শ্রমিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, বা আইটি পেশাদারদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি হতে পারে, যেখানে ন্যূনতম মজুরি প্রায় ১,১০০ ইউরো মাসিক।

বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্ন: স্পেন যেতে কত বয়স লাগে?

উত্তর: যদি কোনো কিশোর ১৭ বছর বয়সে প্রথমবার রেসিডেন্স পারমিট পান, তবে সেটি দুই বছরের জন্য বৈধ থাকবে, অর্থাৎ, ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত। স্পেনের অভিবাসন মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, যখন কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হবেন, তখন আগের রেসিডেন্স পারমিট নবায়নের জন্য ন্যূনতম ৪৯০ ইউরো মজুরিসহ একটি বৈধ চাকরি চুক্তি প্রদান করতে হবে।

প্রশ্ন: স্পেনের ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

উত্তর: ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াকরণে সাধারণত সর্বনিম্ন ১৫ কার্যদিবস সময় লাগে (তবে কিছু ক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে)। তাই আবেদনকারীদের ভ্রমণের পরিকল্পিত তারিখের অনেক আগে থেকেই আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কনস্যুলেট থেকে ভিসা আবেদনের অবস্থা বা ভিসা প্রত্যাখ্যান সম্পর্কিত কোনো তথ্য সরাসরি প্রদান করা হয় না।

প্রশ্ন: ৫ দিনে স্পেন ভিসা পাওয়া যাবে কি?

উত্তর: সাধারণত, স্পেনের কনস্যুলেট জেনারেল ভিসা আবেদনের সম্পূর্ণ নথি পাওয়ার পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে নির্দিষ্ট নাগরিকদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে, যার ফলে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এই ধরনের দেশের তালিকা দেখতে অ্যানেক্স ১৬ দেখুন।

উপসংহার

বাংলাদেশ থেকে স্পেন ভ্রমণ করা একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে যদি আপনি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করেন। খরচ কিছুটা বেশি হলেও, স্পেনের অনন্য সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য দেখার সুযোগ আপনার ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলবে।

আপনার ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে থাকার এবং খাওয়ার খরচের জন্য প্রস্তুতি নিলে ভ্রমণ আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত হবে। আজকের আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। আশাকরি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে উপকৃত হবেন।

ধন্যবাদ 

আর ও পড়ুনঃ

DISCLAIMER

এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।

WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
 Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us 
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন Follow Us

Author

  • Ruthy Musa

    আমি রুথি মুসা, Wikiofpro.com-এর একজন লেখক। আমি পাঠকদের তথ্য প্রদান এবং অনুপ্রাণিত করার জন্য সাধারণ বিষয়গুলি গভীরভাবে শেয়ার করি। আমার লক্ষ্য হল সঠিক তথ্য এবং ব্যাপক জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, যাতে তারা আরও সাবলীল এবং সফলভাবে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারে।

    View all posts

Leave a Comment