পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণ বা চাকরির জন্য। এই সার্টিফিকেটটি প্রমাণ করে যে আপনার বিরুদ্ধে কোন গুরুতর অপরাধের মামলা নেই।
কিন্তু যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা চলমান থাকে তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
মামলা থাকলে কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়?
সাধারণত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে তাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয় না। কারণ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল উদ্দেশ্য হলো নিশ্চিত করা যে ব্যক্তিটি কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। যেমন: যদি কোন মামলায় আপনাকে খালাস দেওয়া হয় তাহলে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।কিছু ক্ষেত্রে মামলা স্থগিত থাকলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে আদালতের বিচারের উপর নির্ভর করে।
কি কি মামলা থাকলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় না
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাধারণত তখনই দেয়া হয় যখন আপনি কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, অর্থাৎ আপনার বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর অপরাধের মামলা থাকা উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া কঠিন হতে পারে, যেমন:
- গুরুতর অপরাধের মামলা: হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, সন্ত্রাসবাদ, কিংবা বড় ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের মামলা থাকলে।
- ডাকাতি ও চুরির মামলা: বড় ধরনের চুরি বা ডাকাতির মামলা থাকলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- মাদকদ্রব্যের মামলার অভিযোগ: মাদকদ্রব্যের পাচার বা ব্যবহার সংক্রান্ত মামলাও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে।
- অর্থ পাচার: বড় ধরনের অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকলেও সমস্যা হতে পারে।
- কোনও গুরুতর সাইবার অপরাধ: সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ থাকলে ক্লিয়ারেন্স পেতে সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া, যদি আপনি কোনও মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন কিংবা আপনির বিরুদ্ধে কোনও সক্রিয় মামলার তদন্ত চলছে, তবে তাও ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে বাধা হতে পারে।
বিভিন্ন দেশের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার শর্ত ভিন্ন হতে পারে। স্থানীয় আইন এবং নীতিমালা জানিয়ে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা ভালো।
আরও পড়ুনঃ মামলা থাকলে ও এখন বিদেশ যেতে পারবেন, নতুন নিয়ম জানুন
কেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন?
বিভিন্ন দেশে নিজেদের নাগরিক এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন হয়। এটি নিশ্চিত করে যে দেশে প্রবেশকারী ব্যক্তি কোনও হুমকি সৃষ্টি করবে না।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ব্যক্তির চরিত্রের একটি প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যেমন চাকরির জন্য আবেদনকারীদের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চায় তাদের চরিত্রের বিষয়ে নিশ্চিত হতে।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নিচে যেসব কাজ পত্র দরকার হয় তা উল্লেখ করা হলো।
- আবেদন ফরম: পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য নির্ধারিত ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি সাধারণত অনলাইনে পাওয়া যায় এবং ডাউনলোড করে পূরণ করতে হয়।
- পাসপোর্টের ফটোকপি: আপনার বৈধ পাসপোর্টের প্রথম পাতার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ঠিকানার প্রমাণ: বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য আপনার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল বা অন্য কোন সরকারি নথির ফটোকপি জমা দিতে হতে পারে।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি: সাধারণত দুই থেকে চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হয়।
- ফি পরিশোধের রসিদ: পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধের রসিদ জমা দিতে হবে।
- অতিরিক্ত কাগজপত্র: কিছু ক্ষেত্রে আপনার থেকে অতিরিক্ত কাগজপত্র চাওয়া হতে পারে। যেমন যদি আপনার নাম পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে নাম পরিবর্তনের সনদ জমা দিতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।
- আবেদন: পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে বা ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটের লিংক নিচে দেওয়া হলো।লিংক: https://pcc.police.gov.bd/ords/pcc2/r/pcc/home
- কাগজপত্র: আবেদন পত্রের সাথে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি ইত্যাদি কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- পরীক্ষা: পুলিশ আপনার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করবে।
- সার্টিফিকেট জারি: যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকে তাহলে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জারি করা হয়।
আরও দেখুনঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
মামলা থাকলে কী হবে?
যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা চলমান থাকে তাহলে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। তবে আপনি যদি মামলায় খালাস পান তাহলে পরবর্তীতে আবার আবেদন করে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
নিচে শর্তাবলী গুলো উল্লেখ করা হলো:
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৩ মাস থাকতে হবে।
- আবেদন করার সময় আপনার পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী বা জরুরী ঠিকানা দিতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সেই ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।
- যদি আপনার পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্রের ফটোকপি দিতে হবে। এই কপিটি কোনো একজন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
- বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের জন্যও এই অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে।
- বিদেশগামী বা প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যদি আপনি অন্য কোন দেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার বাংলাদেশে আসার সময়ের সিল সম্বলিত পৃষ্ঠার স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
- প্রবাসী আবেদনকারীদেরকে একটি অনুমতি পত্র আপলোড করতে হবে যেখানে সেই ব্যক্তির নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ থাকবে। এই অনুমতি পত্রটি সনদ গ্রহণকারী ব্যক্তিকে সনদ সংগ্রহের অনুমতি দেবে।
- যদি আপনার চাকরি বা অন্য কোন কাজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার জেলার ডিএসবি অফিসে (যদি আপনি জেলার বাসিন্দা হন) অথবা মেট্রোপলিটন এলাকার সিটি এসবি অফিসে (যদি আপনি মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দা হন) যোগাযোগ করুন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না পেলে কি সমস্যা হয়?
বিভিন্ন দেশে ভিসা আবেদনের সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। যদি আপনার কাছে এই সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনেক প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এবং সরকারি চাকরিতে যোগদানের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দাখিল করার শর্ত রাখে। যদি আপনার কাছে এই সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনি সেই চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন না।
কিছু সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সদস্য হওয়ার জন্যও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন হতে পারে। অনেক দেশে ভ্রমণের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। এই সার্টিফিকেট ছাড়া আপনি সেই দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
মামলা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
মামলা থাকলে কি কখনোই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় না?
না, এমনটা নয়। মামলার ধরন, মামলার স্টেজ এবং আবেদনকারীর ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারিত হয়।
যদি কোনো মামলায় আপনাকে খালাস দেওয়া হয়ে থাকে বা মামলাটি বাতিল হয়ে যায় তাহলে সাধারণত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কোন ধরনের মামলায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া কঠিন?
ফৌজদারি মামলা বিশেষ করে যৌন হয়রানি, ড্রাগস বা হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের মামলায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া অনেক কঠিন। মামলার বয়স, মামলার বর্তমান অবস্থা, আবেদনকারীর আচরণ ইত্যাদিও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করার আগে কী কী করণীয়?
একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত। আইনজীবী আপনাকে আপনার মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবেন।
আবেদন করার আগে আপনার সকল প্রয়োজনীয় দলিলপত্র যেমন পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, ঠিকানার প্রমাণ ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখুন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন লিংক
আপনার যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্যে আবেদন করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি এই লিংকে টি ব্যবহার করতে পারেন: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদন। লিংক টি ক্লিক করলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্যে আবেদন করার পেজে চলে যাবেন, যেখানে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন!
আবেদন করুন
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কত সময় লাগে?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার সময় মামলার জটিলতা এবং পুলিশের কাজের চাপের উপর নির্ভর করে। সাধারণত এটি কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় নিতে পারে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন, অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম, কোথায় যোগাযোগ করতে হয়, সার্টিফিকেটের মেয়াদ কতদিন, কিভাবে অনলাইনে চেক করবেন, সার্টিফিকেট পেতে কত সময় লাগতে পারে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য খরচের বিষয়গুলো। আশা করি, সব তথ্য আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে।
সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
আর ও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশ থেকে অ্যান্ডোরা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে চেক প্রজাতন্ত্র যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে স্লোভেনিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়ার উপায়
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |