পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা আমাদের পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হারিয়ে গেলে অনেক সমস্যা হতে পারে, যেমন বিদেশ যাত্রার পরিকল্পনা বাতিল হওয়া, সরকারি বা ব্যক্তিগত কাজে বাধা সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।
এ অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথম পদক্ষেপ হলো নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা।
এই নিবন্ধে আমরা পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কীভাবে জিডি করতে হয়, তার নিয়মাবলি ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আলোচনা করা যাক পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডি করার পর দুইটি কপি তৈরি করতে হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিডির সকল তথ্য সহ একটি সিল মেরে দিবেন।
এর মধ্যে একটি কপি থানায় জমা দিতে হবে এবং অপরটি আপনার কাছে রাখতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার সময় এই জিডির কপি প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট হারানো জিডি লেখার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে সাধারণ ডায়েরি করার কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং থানার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।
পাসপোর্ট হারানোর কারণ বর্ণনা করে আবেদনপত্রটি লিখে থানায় জমা দিতে হবে।
থানা আপনার আবেদন পর্যালোচনা করে পাসপোর্ট হারানোর বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবে। তারা আপনাকে একটি কপি দেবে এবং অপরটি থানায় সংরক্ষণ করবে।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি লেখার নমুনা
পাসপোর্ট হারানোর পর, প্রথমে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
জিডি করার সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যুর স্থান, ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
এর পর, আপনার জিডি আবেদনের দুটি ফটোকপি তৈরি করতে হবে।
যদি থানা আপনার জিডি গ্রহণে কোন কারণে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আপনি সেই সার্কেলের এএসপি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
নিচে পাসপোর্ট হারানোর জন্য জিডি আবেদনের একটি নমুনা দেওয়া হল:
- ─────⋅☾ ☽⋅─────•
তারিখ: ০১/০৫/২০২৪
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,
মণিরামপুর থানা,
মণিরামপুর, যশোর।
বিষয়: পাসপোর্ট হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন
জনাব,
যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি [আপনার নাম], পিতা-[পিতার নাম]; আমার নামে ইস্যু করা পাসপোর্টটি [হারানোর তারিখ] হারিয়ে ফেলি। পাসপোর্টটির তথ্য নিম্নরূপ:
নাম: [আপনার নাম]
পাসপোর্ট নম্বর: [পাসপোর্ট নম্বর]
ইস্যুর স্থান: [ইস্যুর স্থান]
ইস্যুর তারিখ: [ইস্যুর তারিখ]
মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ: [মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ]
এমতাবস্থায়, মহোদয়ের নিকট আমার বিনীত আবেদন এই যে, পাসপোর্টটি হারানোর বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আপনার সদয় মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
স্বাক্ষর
[আপনার স্বাক্ষর]
নাম: [আপনার নাম]
পাসপোর্ট নম্বর: [পাসপোর্ট নম্বর]
মোবাইল নম্বর: [আপনার মোবাইল নম্বর]
ঠিকানা: [আপনার ঠিকানা]
- ─────⋅☾ ☽⋅─────•
জিডি আবেদনের নমুনায় ব্যবহৃত তথ্যগুলো শুধুমাত্র উদাহরণের জন্য। এগুলো আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করুন।
আরও জানুন: মোবাইল হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম
দেশের মধ্যে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
যদি দেশের ভেতরে আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে যায় এবং তা অন্য কারো হাতে পৌঁছে, তাহলে সেটি ব্যবহার করে আপনাকে বিভিন্ন আইনি সমস্যায় ফেলা হতে পারে।
তাই পাসপোর্ট হারালে প্রথমেই নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এটি আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এরপর, পাসপোর্ট পুনরায় পেতে চাইলে, পাসপোর্ট অফিসে রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
কেন পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করতে হয়
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করার সময় থানায় করা জিডির কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
হারানো পাসপোর্ট যদি অন্য কারো হাতে পড়ে, তবে তা ব্যবহার করে আপনাকে বিভিন্ন আইনি জটিলতায় ফেলতে পারে, এমনকি অবৈধ কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে।
এজন্য পাসপোর্ট হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি জিডি করা অত্যন্ত জরুরি।
জিডি করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া এই পোস্টের নিচের অংশে দেওয়া হয়েছে।
কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন করতে হয়
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
- প্রথম ধাপ: পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
- Apply Online: অনলাইনে আবেদন করতে: “e‑Passport / পুনঃ ইস্যু জন্য অনলাইনে আবেদন করুন” অপশনে ক্লিক করুন। এর পর “নতুন e‑Passport এর জন্য আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
- তথ্য পূরণ: আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- ID Documents: এএই ট্যাবে এসে “হ্যাঁ, আমার একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ePP) আছে” নির্বাচন করুন।
- পাসপোর্ট রিকোয়েস্টের কারণ: “আপনার পাসপোর্টের জন্য আবেদনের কারণ কী?” থেকে “হারিয়ে গেছে/চুরি হয়েছে” অপশনটি নির্বাচন করুন।
- জিডি নম্বর প্রদান: “পুলিশের মামলার নম্বর সহ জিডি নম্বর” ফিল্ডে থানায় করা জিডি নম্বরটি লিখুন।
- পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য: আপনার হারানো পাসপোর্টের নম্বর, ইস্যু ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখুন।
- NID/BRC অনুযায়ী আবেদন: যদি আপনার পূর্বের পাসপোর্ট MRP হয়, তবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় NID বা BRC অনুযায়ী তথ্য প্রদান করতে হবে। NID বা BRC-তে থাকা তথ্য (যেমন: নাম, বয়স) পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কিছু আংশিক পরিবর্তন (যেমন: ঠিকানা) করা যেতে পারে।
- ই-পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু: যদি পূর্বের পাসপোর্ট ই-পাসপোর্ট হয়, তবে অনলাইনে আগের পাসপোর্টের হুবহু তথ্য প্রদান করে আবেদন করতে হবে।
- ফি প্রদান: পাসপোর্টের ফি সোনালী ব্যাংকে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে প্রদান করুন।
- আবেদন জমা: অনলাইনে আবেদন ফর্মের প্রিন্ট কপি নিয়ে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন করতে পারবেন।
নতুন আর্টিকেল: ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম
কিভাবে পাসপোর্ট Lost Circular কপি সংগ্রহ করবেন
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে রি-ইস্যুর আবেদন করার সময় সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পরে, পাসপোর্টের লস্ট সার্কুলার কপি সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।
লস্ট সার্কুলার হলো একটি নোটিশ, যা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হারানো পাসপোর্ট সম্পর্কে সকল পাসপোর্ট অফিস, বিমানবন্দর এবং পোর্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এই সার্কুলারটি জারি করা হয় যেন কেউ হারানো পাসপোর্ট পেলে, তা নিকটস্থ থানায়, পোর্টে বা পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়। এটি পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করার জন্যই করা হয়।
তাই, আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনার পাসপোর্টের লস্ট সার্কুলার কপি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। এটি পরবর্তীতে পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু বা অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।
বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে প্রথমে সেখানে নিকটস্থ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
এর পর, আপনাকে ওই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট হারানোর বিষয়টি জানাতে হবে।
সেখানে আপনি নতুন পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য অথবা দেশে ফিরে আসার বিষয়ে সহায়তা চাইতে পারেন।
দূতাবাস আপনার দেশে ফিরে আসার জন্য সব রকম সহযোগিতা করবে। যদি আপনি ওই দেশে কর্মরত থাকেন এবং নতুন পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়, তবে দূতাবাসের মাধ্যমে রি-ইস্যুর আবেদন করতে পারেন।
সাধারণত, একটি দেশের রাজধানীতে প্রধান বাংলাদেশ দূতাবাস অবস্থিত থাকে, এবং অন্যান্য রাজ্যে আঞ্চলিক কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসগুলো প্রধান দূতাবাসের শাখা হিসেবে সেবা প্রদান করে।
আপনি যেখানে বা যে রাজ্যে অবস্থান করছেন, সেখানে আপনার নিকটস্থ কনস্যুলেট অফিস রয়েছে কি না তা যাচাই করুন।
যদি কনস্যুলেট অফিস না থাকে, তাহলে আপনাকে সেই দেশের রাজধানীতে গিয়ে প্রধান দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে।
নতুন পাসপোর্ট ইস্যু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এই সময়ে আপনার ভ্রমণে কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য আপনি ওই দেশে ভ্রমণের জন্য একটি ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে পারেন।
ট্রাভেল পাস পাওয়ার ক্ষেত্রে দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস আপনাকে সাহায্য করবে।
সবশেষে, দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট হারানোর বিষয়ে রিপোর্ট করার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট লস্ট সার্কুলারের জন্য আবেদন করুন।
এটি ভবিষ্যতে ভিসা আবেদন এবং বিভিন্ন আইনি কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট।
পাসপোর্ট যেখানেই হারাক না কেন, লস্ট সার্কুলারের জন্য আবেদন করতে ভুলবেন না।
আরও দেখুন: ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট নাম্বার জানা না থাকলে কি করবেন
যদি আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে যায় এবং আপনার কাছে এর কোন ফটোকপি না থাকে বা পাসপোর্ট নম্বর মনে না থাকে, তবে থানায় জিডি করতে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যেহেতু জিডির জন্য পাসপোর্টের নম্বর, ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করা প্রয়োজন, তাই প্রথমে আপনাকে পাসপোর্টের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
চলুন, দেখেনি কিভাবে পাসপোর্টের নম্বর ও অন্যান্য তথ্য জানতে পারেন:
- পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন: আপনি যে কোনো আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এজন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে যেতে হবে।
- পরিচিতি নম্বর ব্যবহার করুন: আপনার এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে পাসপোর্ট অফিসে কর্মকর্তারা পাসপোর্ট ডাটাবেইজ থেকে আপনার তথ্য সার্চ করতে পারবেন।
- সাহযোগিতা নিন: পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা সাধারণত ব্যস্ত থাকেন এবং সহযোগিতা করতে সময় নিতে পারেন। তাই ধৈর্য্য সহকারে এবং বিনীতভাবে তাদের কাছে সহযোগিতা চাইবেন।
- তথ্য সংগ্রহ করুন: পাসপোর্টের তথ্য সংগ্রহের পর দ্রুত থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। এতে আপনার পাসপোর্ট হারানোর বিষয়ে অফিসিয়াল রেকর্ড হবে।
পাসপোর্টের তথ্য জানার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিডি করার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।
পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: জিডি করতে কি কি লাগে?
উত্তর: হ্যাঁ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেক বই, লাইসেন্স, শিক্ষা সনদ বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারিয়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যায়।
এটি আপনার হারানো কাগজপত্রের আইনি প্রমাণ হিসেবে কাজ করে, যা পরবর্তীতে নথিপত্র পুনরুদ্ধার বা নতুন করে সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জিডি করার সময় হারানো নথির বিবরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য থানায় প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন: জিডি করতে কত টাকা লাগে?
উত্তর: থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে কোনো টাকা লাগে না। এটি একটি নাগরিক অধিকার এবং আইনি প্রক্রিয়ার অংশ, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
যদি থানার কোনো কর্মচারী বা অফিসার আপনার কাছ থেকে টাকা চায়, তবে বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান।
যদি তিনি এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেন, তবে আপনি সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসার বা জোনাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
উপসংহার
পাসপোর্ট হারানো একটি বড় সমস্যা, তবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যাটি সহজেই সমাধান করা সম্ভব।
প্রথমে থানায় গিয়ে জিডি করা, প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা এবং নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা—এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে পাসপোর্ট হারানোর পরও আপনার অন্যান্য কার্যক্রম বাধাহীনভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
তাই, পাসপোর্ট হারানোর পর আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিন এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলুন। নিরাপদে ভ্রমণ করুন এবং পাসপোর্ট সবসময় নিরাপদ স্থানে রাখুন।
আজকের আলোচনার বিষয় ছিল পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা। আশাকরি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।
আরও জানুন:
- কি কি রোগ থাকলে সরকারি চাকরি হয় না?
- মামলা থাকলে কি সরকারি চাকরি হয়?
- বাংলাদেশ থেকে ভারতে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা ২০২৪
- মামলা থাকলে কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়?
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন শর্ত
- কোটি টাকা আয় করার উপায়
- অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করার উপায়
- ঘরে বসেই অনলাইন জিডি করার নিয়ম
- বাচ্চা সহ তালাক দেওয়ার নিয়ম
- কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
- স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম
- স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |