বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় ২০২৪ (ভিসা প্রসেসিং, আবেদন, কত টাকা লাগে)

পর্তুগাল একটি সুন্দর দেশ যেখানে সমুদ্র তীরবর্তী শহর, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সংস্কৃতি মিলে অনন্য এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পর্তুগাল প্রবাসী শিক্ষার্থী, পর্যটক ও কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। 

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকের। এই আর্টিকেলে উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য পর্তুগাল ভ্রমণের উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

bangladesh theke portugal jawar upay

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের নাগরিক পর্তুগাল বিভিন্ন উপায়ে যেতে পারে। যেমন:

১. উচ্চশিক্ষার জন্য: উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের নাগরিক পর্তগাল যেতে পারে।

২. পর্যটক/ ভিজিটর হিসাবে: পর্যটক/ভিজিটর হিসাবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া যায়।

৩. কর্মসংস্থানের জন্য: কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশের নাগরিক পর্তগাল যেতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বিভিন্ন যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে। সরাসরি ফ্লাইট না থাকলেও, বিভিন্ন সংযোগকারী ফ্লাইটের মাধ্যমে পর্তুগালে পৌঁছানো সম্ভব। এখানে প্রধানত যাতায়াতের যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

১. ফ্লাইট সংযোগ

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ এবং দ্রুততম উপায় হল বিমানপথে যাতায়াত। যেহেতু সরাসরি ফ্লাইট নেই, তাই বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সংযোগকারী ফ্লাইট ব্যবহার করতে হবে।

 ঢাকা থেকে লিসবন

ঢাকা থেকে লিসবন, পর্তুগালের প্রধান বিমানবন্দর, যাওয়ার জন্য সংযোগকারী ফ্লাইটগুলি ব্যবহার করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স এবং তাদের সংযোগকারীর তালিকা:

  • Qatar Airways: ঢাকা থেকে দোহা, তারপর দোহা থেকে লিসবন।
  • Turkish Airlines: ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল, তারপর ইস্তাম্বুল থেকে লিসবন।
  • Emirates: ঢাকা থেকে দুবাই, তারপর দুবাই থেকে লিসবন।

বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্তুগাল যাওয়ার উপায় 

পর্তুগাল, তার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। পাশাপাশি, এটি উচ্চ শিক্ষার জন্যও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্তুগালকে পছন্দ করছে এর উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বৈশ্বিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আকর্ষণীয় জীবনযাত্রার জন্য।

নিম্নে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়, আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আলোচনা করা হবে।

পর্তুগালে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি

১. বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

প্রথম ধাপ হল উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন করা। পর্তুগালের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হল:

  • University of Lisbon: পর্তুগালের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় যা বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করে।
  • University of Porto: গবেষণা ও উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
  • University of Coimbra: এটি একটি প্রাচীন এবং সম্মানিত প্রতিষ্ঠান যা উচ্চ শিক্ষার জন্য অসাধারণ সুযোগ প্রদান করে।

২. কোর্স এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সের জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে। সাধারণত, উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। কিছু সাধারণ যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে:

  • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সনদপত্র।
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর (যেমন TOEFL, IELTS)।
  • ব্যাচেলর বা মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয়তা।

আবেদন প্রক্রিয়া

১. আবেদনপত্র পূরণ

পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবেদন করতে হলে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলি অন্তর্ভুক্ত করে:

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড বা অনলাইনে পূরণ।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা।

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

আবেদনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলির মধ্যে থাকতে পারে:

  • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদপত্র।
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ।
  • পাসপোর্টের কপি।
  • সুপারিশ পত্র।
  • আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণ।

ভিসা প্রক্রিয়া

১. ভিসা আবেদন

উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্তুগালে যেতে হলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে পর্তুগালের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে, যেমন:

  • ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র।
  • আর্থিক প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্কলারশিপ প্রমাণ)।
  • স্বাস্থ্য বীমা।
  • পাসপোর্টের কপি।
  • ছবি।

৩. ভিসা ইন্টারভিউ

কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্যও উপস্থিত হতে হতে পারে। এই সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, আর্থিক পরিস্থিতি এবং পড়াশোনার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।

খরচ ও বৃত্তি

১. শিক্ষার খরচ

পর্তুগালে উচ্চ শিক্ষার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, বার্ষিক টিউশন ফি ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ ইউরো হতে পারে।

আরও দেখুনঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

২. জীবনযাত্রার খরচ

জীবনযাত্রার খরচও শহর ও ব্যক্তিগত জীবনযাপনের মান অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। লিসবন এবং পোর্তোর মতো বড় শহরে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। সাধারণত, মাসিক খরচ ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো হতে পারে।

৩. বৃত্তি

বিভিন্ন বৃত্তি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আপনার শিক্ষার খরচ কমাতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় বৃত্তি হল:

  • Erasmus Mundus Joint Master Degrees
  • Fundação para a Ciência e a Tecnologia (FCT) বৃত্তি
  • Universidade de Lisboa স্কলারশিপ

থাকার ব্যবস্থা

১. বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেল

অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা প্রদান করে। এটি সাধারণত তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হয়।

২. প্রাইভেট অ্যাকোমোডেশন

আপনি চাইলে প্রাইভেট ফ্ল্যাট বা রুমও ভাড়া নিতে পারেন। এটি কিছুটা ব্যয়বহুল হতে পারে তবে এটি আপনাকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা প্রদান করে।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য

১. ভাষার দক্ষতা

যদিও পর্তুগালে অনেক কোর্স ইংরেজিতে পড়ানো হয়, তবে পর্তুগিজ ভাষার কিছুটা দক্ষতা অর্জন করলে এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক হতে পারে।

২. কাজের সুযোগ

পর্তুগালে পড়াশোনা করার সময় পার্ট-টাইম কাজের সুযোগও রয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসার অধীনে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়।

পর্যটক হিসাবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

পর্তুগাল, তার প্রাচীন ইতিহাস, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। পর্যটক হিসাবে পর্তুগালে ভ্রমণ আপনাকে অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

বাংলাদেশ থেকে পর্যটক হিসাবে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়, ভিসা প্রক্রিয়া, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং ভ্রমণের অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

পর্তুগাল ভ্রমণের কারণ

পর্তুগাল বিভিন্ন কারণে পর্যটকদের আকর্ষণ করে:

  • ঐতিহাসিক স্থাপনা: লিসবন, পোর্তো এবং অন্যান্য শহরের প্রাচীন দুর্গ, প্রাসাদ এবং চার্চ।
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: আলগারভের সমুদ্র সৈকত, সেররা দা এস্ট্রেলার পর্বত এবং দোরো নদী।
  • সংস্কৃতি ও খাবার: পর্তুগালের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সুস্বাদু খাদ্য।

ভিসা প্রক্রিয়া

১. শেঙ্গেন ভিসা আবেদন

পর্তুগালে পর্যটক হিসাবে ভ্রমণ করতে হলে শেঙ্গেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। শেঙ্গেন ভিসা প্রাপ্তির জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  • আবেদনপত্র পূরণ: শেঙ্গেন ভিসার জন্য আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: আবেদনপত্রের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে, যেমন:
    • পাসপোর্টের কপি (মেয়াদ অন্তত ৬ মাস থাকতে হবে)
    • সম্প্রতি তোলা ছবি
    • বিমানের টিকিটের কপি
    • হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
    • ভ্রমণ বীমা
  • ভিসা ফি: ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
  • ভিসা ইন্টারভিউ: দূতাবাসে ভিসা ইন্টারভিউর জন্য সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে হবে।

পর্তুগালে পর্যটন কেন্দ্র

১. লিসবন

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন তার ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবনের জন্য বিখ্যাত। এখানে কিছু প্রধান পর্যটন আকর্ষণ:

  • বেলেম টাওয়ার: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
  • জেরোনিমোস মনাস্টেরি: গথিক স্থাপত্যের এক অসাধারণ নিদর্শন।
  • আলফামা জেলা: লিসবনের প্রাচীনতম এলাকা, যেখানে সরু গলি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।

২. পোর্তো

দোরো নদীর তীরে অবস্থিত পোর্তো শহর তার ওয়াইনের জন্য বিখ্যাত। এখানে কিছু পর্যটন আকর্ষণ:

  • রিবেইরা ডিস্ট্রিক্ট: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
  • দোরো নদী ক্রুজ: নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ক্রুজ ভ্রমণ।
  • লুইস আই ব্রিজ: পোর্তো শহরের একটি প্রতীকী স্থাপনা।

৩. আলগারভে

আলগারভে তার সমুদ্র সৈকত এবং রিসোর্টগুলির জন্য বিখ্যাত। এখানে কিছু জনপ্রিয় স্থান:

  • লাগোস: সুদৃশ্য সমুদ্র সৈকত এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা।
  • ফারো: আলগারভের প্রধান শহর যেখানে প্রাচীন দুর্গ এবং চার্চ রয়েছে।
  • আলবুফেইরা: জনপ্রিয় রিসোর্ট এবং সমুদ্র সৈকত।

আরও দেখুনঃ মেডিকেল ছাড়া কোন দেশে যাওয়া যায়

ভ্রমণের অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য

১. স্থানীয় পরিবহন

পর্তুগালে স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। আপনি ট্রাম, বাস, ট্রেন এবং ট্যাক্সি ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন স্থানে যেতে পারেন। লিসবন এবং পোর্তোতে মেট্রো ব্যবস্থা রয়েছে যা দ্রুত এবং সুবিধাজনক।

২. ভাষা ও মুদ্রা

পর্তুগালের প্রধান ভাষা হল পর্তুগিজ। তবে, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ইংরেজি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মুদ্রা হল ইউরো, তাই ভ্রমণের আগে ইউরোতে অর্থ পরিবর্তন করে নেওয়া ভাল।

৩. খাবার ও রেস্টুরেন্ট

পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। কিছু জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • পাস্তেল দে নাটা: একটি ক্রিমি পেস্ট্রি।
  • বাকালহাউ: লবণাক্ত মাছের একটি ডিশ।
  • পেরি পেরি চিকেন: একটি মসলাযুক্ত চিকেন ডিশ।

ওয়ার্ক পারমিট হিসাবে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

নিম্নে, বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, আবেদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিটের ধরন

পর্তুগালে কাজ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হতে পারে। প্রধানত দুটি ধরনের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে:

  • শর্ট-টার্ম ওয়ার্ক পারমিট: ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়।
  • লং-টার্ম ওয়ার্ক পারমিট: ৯০ দিনের বেশি সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়।

ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্যতা

ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পর্তুগালের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাকরির অফার
  • প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা
  • ক্রিমিনাল রেকর্ড চেক
  • স্বাস্থ্য বীমা

আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

আবেদন প্রক্রিয়া

১. চাকরির অফার

প্রথম ধাপ হল পর্তুগালে একটি চাকরির অফার পাওয়া। আপনি বিভিন্ন জব পোর্টাল এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন। জনপ্রিয় কিছু জব পোর্টালের মধ্যে রয়েছে:

  • LinkedIn
  • Indeed
  • Glassdoor
  • EURES

২. নথিপত্র সংগ্রহ

চাকরির অফার পাওয়ার পর, আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই নথিগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • চাকরির অফার লেটার
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পেশাগত অভিজ্ঞতার প্রমাণ
  • স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ
  • ক্রিমিনাল রেকর্ড চেক

৩. ভিসা আবেদন

ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে পর্তুগালের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

  • অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ: পর্তুগালের দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
  • ডকুমেন্ট জমা: প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
  • আবেদন ফি প্রদান: নির্ধারিত আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
  • ভিসা ইন্টারভিউ: দূতাবাসে ভিসা ইন্টারভিউর জন্য উপস্থিত হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মামলা থাকলে ও এখন বিদেশ যেতে পারবেন, নতুন নিয়ম জানুন

ভিসা প্রক্রিয়া

১. আবেদনপত্র জমা

আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার পর, দূতাবাস আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে। এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে।

২. ভিসা ইন্টারভিউ

কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্যও উপস্থিত হতে হতে পারে। ইন্টারভিউর সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, চাকরির তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানাতে হবে।

৩. ভিসা অনুমোদন

আপনার আবেদন এবং ইন্টারভিউ পর্যালোচনার পর, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করা হবে। এই ভিসা নিয়ে আপনি পর্তুগালে কাজ করতে পারবেন।

৩. ব্যাংক একাউন্ট খোলা

পর্তুগালে থাকা ও কাজ করার জন্য একটি স্থানীয় ব্যাংক একাউন্ট খোলা প্রয়োজন হতে পারে। এটি আপনার বেতন গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।

আরও জানুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

উপসংহার

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে, সেটা উচ্চ শিক্ষার জন্য, পর্যটনের জন্য বা কাজ করার জন্য হোক। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনি এই সুন্দর দেশটির সৌন্দর্য ও সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নিয়ে নিশ্চিত হতে আপনার সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন। শুভ যাত্রা!

আর ও পড়ুনঃ

DISCLAIMER

এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।

WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
 Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us 
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন Follow Us

Author

  • Ruthy Musa

    আমি রুথি মুসা, Wikiofpro.com-এর একজন লেখক। আমি পাঠকদের তথ্য প্রদান এবং অনুপ্রাণিত করার জন্য সাধারণ বিষয়গুলি গভীরভাবে শেয়ার করি। আমার লক্ষ্য হল সঠিক তথ্য এবং ব্যাপক জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, যাতে তারা আরও সাবলীল এবং সফলভাবে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারে।

    View all posts

2 thoughts on “বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় ২০২৪ (ভিসা প্রসেসিং, আবেদন, কত টাকা লাগে)”

  1. MD. SALIM
    Father:- FUZLUL KARIM
    MST CHATARA BEGUM
    Address- RAM NARAYANPUR
    WARD NO-06.
    CHATKHIL.
    KALYAN.
    NAGAR-3870.
    NOAKHALI
    CONTACT- MANJUMA AKHTER
    Relationship Address-TNT COLONY AGRABAD.DOUBLE MOORING.CHITTAGONG.BANDARMAIN
    POST OFFICE-4100
    CHATTOGRA
    JOS

    Reply
  2. MD. SALIM
    Father:- FUZLUL KARIM
    MST CHATARA BEGUM
    Address- RAM NARAYANPUR.WARD NO-06.CHATKHIL.KALYAN.NAGAR-3870.NOAKHALI
    CONTACT- MANJUMA AKHTER
    Relationship Address- TNT COLONY AGRABAD.
    DOUBLE MOORING.CHITTAGONG.
    BANGLADESH
    POST OFFICE-4100
    CHATTOGRA

    Reply

Leave a Comment