জীবনের সব সম্পর্ক টিকে থাকুক, এটা আমাদের সকলেরই কাম্য। কিন্তু কখনও কখনও বাস্তবতা বড় নির্মম হয়। প্রবাসে থাকা একজন স্বামী যখন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব বলে মনে করেন না, তখন আইনগতভাবে তালাক দেওয়াটাই হয়ে ওঠে শেষ উপায়। অনেকেই ভাবেন, বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম কীভাবে কাজ করে বা আদৌ সম্ভব কিনা।
বাংলাদেশি আইনে একজন ব্যক্তি বিদেশে থেকেও স্ত্রীর সঙ্গে তালাক সম্পন্ন করতে পারেন—শুধু জানতে হবে সঠিক প্রক্রিয়া ও আইনি ধাপগুলো। যেহেতু এটি শুধুই আবেগ নয়, বরং একেবারে আইনি বিষয়, তাই ভুল পথে গেলে তালাক অকার্যকর হতে পারে। আর তাতে দেখা দিতে পারে আরও জটিলতা।
এই লেখায় আমি সহজভাবে বোঝাবো—বিদেশ থেকে তালাক কীভাবে কার্যকর করা যায়, কী কাগজ লাগবে, কোন দপ্তরে জমা দিতে হয়, কতদিনে কার্যকর হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় কোন ভুলগুলো একদমই করা যাবে না। তাহলে চলুন, বিস্তারিত জানি বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম ২০২৫
বিদেশ থেকে তালাক দিতে চাইলে বাংলাদেশি আইনে কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রবাসে থাকা স্বামী (বা স্ত্রী) যদি বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ করতে চান, তবে প্রথমেই একজন বিশ্বস্ত প্রতিনিধিকে “পাওয়ার অব অ্যাটর্নি” বা আমমোক্তারনামার মাধ্যমে তালাক কার্যকর করার ক্ষমতা দিতে হয়। এই দলিলটি সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা কনস্যুলেট কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে এবং পরে বাংলাদেশে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
প্রতিনিধি এরপর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭(১) ধারার আওতায় তালাকের নোটিশ প্রেরণ করবেন। এই নোটিশ প্রেরণের ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়—তবে তার আগে যদি কোনো আপত্তি না আসে।
মধ্যপ্রাচ্যের মতো কিছু দেশে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য তালাক প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ সে দেশের আইনি কাঠামোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রক্রিয়ার সমন্বয় না থাকলে তালাক স্বীকৃত নাও হতে পারে।
সুতরাং, একজন আইনজীবীর সহায়তায় প্রতিটি ধাপ বুঝে ও সঠিকভাবে অনুসরণ করে বিদেশ থেকেও বৈধ তালাক প্রদান সম্ভব।
চলুন, বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম – ধাপে ধাপে বুঝি তুমি যদি ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য বা আমেরিকায় থাকো, তাহলে কীভাবে বাংলাদেশে তালাক কার্যকর করা যায়?
ধাপ ১: তালাকনামা রচনা ও নোটারি
- তালাক দিতে চাইলে প্রথমেই একটি তালাকনামা লিখে সেটা নোটারি করাও।
- প্রবাসী বাংলাদেশি হলে, এটি তোমার দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে নোটারি করা যায়।
- তালাকনামায় নিজের নাম, স্ত্রীর নাম, বিয়ের তারিখ, তালাকের কারণ, স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হয়।
ধাপ ২: কূটনৈতিক চ্যানেলে পাঠানো
- দূতাবাসে নোটারি করার পর, তালাকনামাটি বাংলাদেশে পাঠাতে হবে।
- তুমি চাইলে পোস্ট বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তা পাঠাতে পারো তোমার এলাকার সিটি করপোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদে, যেটার অধীনে তোমার স্ত্রী বসবাস করেন।
ধাপ ৩: সালিশি বোর্ড ও নোটিশ
- তালাকনামা পৌঁছানোর পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তোমার স্ত্রীর কাছে একটি নোটিশ পাঠাবে।
- ৯০ দিনের মধ্যে ৩টি সালিশি সভা ডাকা হবে আপসের জন্য।
ধাপ ৪: ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর
- যদি স্ত্রীর পক্ষ থেকে আপত্তি না আসে বা আপস না হয়, তাহলে তালাক ৯০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়।
- তালাক কার্যকর হওয়ার পর, উভয় পক্ষের জন্য তা আইনি বৈধতা পায়।
কাগজপত্রের তালিকা
তালাক দিতে চাইলে কিছু ডকুমেন্ট আগে থেকে প্রস্তুত রাখলে ঝামেলা কম হবে। নিচে একটা ছকে দিচ্ছি—
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | বিস্তারিত |
---|---|
পাসপোর্ট ও ভিসার কপি | প্রবাসী হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য |
বিয়ের নিবন্ধন কপি | বিয়ের তারিখ ও পরিচয় যাচাইয়ের জন্য |
তালাকনামা | তালাক দেওয়ার মূল দলিল |
দূতাবাসের সনদ/নোটারি কপি | আইনি স্বীকৃতির জন্য |
ছবি ও স্বাক্ষর | যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ |
কীভাবে তালাক কার্যকর হয়?
বাংলাদেশি আইনে তালাক মানে শুধু মুখে বলে দেওয়া নয়—এটা আইনি, প্রক্রিয়াভিত্তিক এবং কিছুটা সময়সাপেক্ষ। আর যদি তুমি বিদেশে থাকো, তাহলে সেটা আরও একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে। তবে অসম্ভব না।
বাংলাদেশি মুসলিম তালাক পদ্ধতি (যা প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য):
- তালাকনামা (Divorce Notice) পাঠানো হয় স্ত্রীর কাছে এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/ইউনিয়ন কাউন্সিলে
- নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিনের মধ্যে তিনবার সালিশি সভা ডাকা হয়
- ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়, যদি আপস না হয়
বিদেশে বসে এই কাজগুলো কিভাবে হবে? আসো সেটা বিস্তারিত দেখি।
বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের নিয়ম-কানুন?
বিদেশে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানতে চাইলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আইনগত কিছু নির্দিষ্ট ধাপ রয়েছে। শুধু ফোনে বা মেসেঞ্জারে ‘তালাক’ বললেই কাজ হয়ে যাবে না—আইনি স্বীকৃতি পেতে হলে অবশ্যই নিচের নিয়মগুলো মানতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে তালাক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, এমনকি স্ত্রী পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এখন চলুন দেখে নিই সংক্ষিপ্তভাবে কী কী নিয়ম-কানুন মানতে হয়:
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি: স্বামী বিদেশে থাকলে, বাংলাদেশের কোনো আত্মীয়/বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে তালাকের কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব দিতে হয়।
নোটারী ও কনস্যুলার সত্যায়ন: বিদেশ থেকে তৈরি দলিল দূতাবাসের মাধ্যমে নোটারি ও কনস্যুলার সত্যায়ন করাতে হবে।
বাংলাদেশে পাঠিয়ে ডিসি অফিসে জমা: পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও তালাকপত্র ডিসি অফিসে জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ: সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় তালাকের নোটিশ দিতে হবে ৩ কপি।
৯০ দিন সময়: নোটিশের পর ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে আপত্তি না এলে তালাক কার্যকর ধরা হয়।
মোহরানা ও খোরপোষের হিসাব: তালাকের আগে মোহরানা ও খোরপোষ নিয়ে আলোচনা থাকা উত্তম।
প্রমাণ রাখুন: সব কাগজপত্রের কপি সংরক্ষণ করুন, ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অবশ্যই! নিচে “বিদেশ থেকে তালাক দেওয়া এবং কার্যকর করার পদ্ধতি?” শিরোনামে ১০০ শব্দের একটি সারাংশ এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পয়েন্ট আকারে প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হলো:
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়া এবং কার্যকর করার পদ্ধতি?
বিদেশ থেকে তালাক দিতে চাইলে একে শুধু ইচ্ছার বিষয় নয়, বরং একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে। যেহেতু তালাক একটি বৈধ ও আইনসম্মত সিদ্ধান্ত, তাই প্রবাসে থাকা অবস্থায় এই তালাককে কার্যকর করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। ভুল পথে গেলে তালাক বাতিল বলে গণ্য হতে পারে এবং তা ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পরিণত হতে পারে।
তালাক কার্যকর করতে হলে নোটিশ প্রেরণ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং ৯০ দিনের সময়সীমা মেনে চলা আবশ্যক। চলুন দেখে নিই, ধাপে ধাপে তালাক কার্যকর করার পদ্ধতি:
- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি ও সত্যায়ন করুন
➤ স্বামী বিদেশে থেকে একজন প্রতিনিধিকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেবেন (দূতাবাসে নোটারি করিয়ে)। - প্রতিনিধি বাংলাদেশে কাগজপত্র নিয়ে জমা দেবেন
➤ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সত্যায়ন ও নিবন্ধন করাতে হবে। - তালাকের নোটিশ পাঠান স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে
➤ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন অফিসে ৩ কপি নোটিশ পাঠাতে হবে। - ৯০ দিন অপেক্ষা করুন
➤ তালাকের নোটিশ জমার ৯০ দিনের মধ্যে কোনো আপত্তি না এলে তালাক কার্যকর হবে। - তালাক কার্যকরের স্বীকৃতি সংগ্রহ করুন
➤ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে তালাক কার্যকরের প্রমাণ বা প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। - আইনি সহায়তা নিন (যদি দরকার হয়)
➤ জটিলতা এড়াতে একজন পারিবারিক আইনজীবীর সহায়তা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তালাকের পর কী কী করণীয়?
তালাক কার্যকর হওয়ার পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, যা ভুললে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারো। যেমন:
- তালাকের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করা (Divorce Certificate)
- যদি যৌতুক বা দেনমোহরের কোনো দাবি থেকে থাকে, তা নিরসন করা
- ব্যাংক, পাসপোর্ট বা অন্যান্য আইডিতে বৈবাহিক স্ট্যাটাস পরিবর্তন
- সন্তান থাকলে হেফাজতের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া
যদি স্ত্রী রাজি না হন?
এটাই একদম জটিল জায়গা। যদি স্ত্রী তালাক মেনে না নেন?
- তারপরেও তালাকনামা ও সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারো।
- স্ত্রীর আপত্তি থাকলেও, আইনগতভাবে ৯০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর হতে পারে—শুধু যদি সালিশ বোর্ডে আপস না হয়।
তবে এই ক্ষেত্রে আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া খুবই জরুরি।
ইসলামিক ও নাগরিক আইনের পার্থক্য
বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন ও নাগরিক আইন একসাথে চলে, তবে তালাকের ক্ষেত্রে ইসলামিক রীতি গুরুত্বপূর্ণ।
- ইসলামি দৃষ্টিতে তালাক একবার বলা মানেই তালাক নয়, সেটা প্রক্রিয়া অনুসারে করতে হয়।
- নাগরিক আইনে তালাক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
এই দুই দিক একসাথে না বুঝলে অনেক সময় তালাক বাতিল বলে বিবেচিত হয়।
প্রবাসী তালাক বনাম দেশে থাকা তালাক: পার্থক্য কী?
নিচে টেবিল থেকে প্রবাসী তালাক বনাম দেশে থাকা তালাক: পার্থক্য কী দেখে নিন, এতে আপনাদের সুবিদা হবে।
বিষয় | প্রবাসে থাকা তালাক | দেশে থাকা তালাক |
নোটারি প্রক্রিয়া | দূতাবাসে করতে হয় | স্থানীয় আইনজীবী দ্বারা সম্ভব |
যোগাযোগ | ডাক/কুরিয়ারে | সরাসরি অফিসে গিয়ে করা যায় |
সময় | সময় বেশি লাগতে পারে | তুলনামূলকভাবে কম সময় |
বিদেশ থেকে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের নিয়ম-কানুন: কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: আমি প্রবাসে থেকে কীভাবে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারি?
উত্তর: আপনি সরাসরি তালাক দিতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করতে হবে, যা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নোটারী ও কনস্যুলার সনদপ্রাপ্ত হতে হবে। এরপর সেই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে আপনার প্রতিনিধি বাংলাদেশে তালাকের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
প্রশ্ন ২: শুধু ফোনে বা মেসেজে ‘তালাক’ বললেই কি তালাক কার্যকর হয়ে যাবে?
উত্তর: না, কখনোই না। বাংলাদেশি আইনে তালাকের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ বাধ্যতামূলক। শুধু মৌখিক বা লিখিতভাবে বলা যথেষ্ট নয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠানো এবং ৯০ দিনের সময়সীমা মানতে হয়।
প্রশ্ন ৩: তালাকের ৯০ দিন গননা কখন থেকে শুরু হয়?
উত্তর: তালাকের নোটিশ সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হয়। এই সময়কালে কেউ আপত্তি করলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৪: তালাকের সময় কি স্ত্রীকে মোহরানা বা খোরপোষ দিতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, তালাকের সময় মোহরানা পরিশোধ বাধ্যতামূলক। যদি স্ত্রী গর্ভবতী হন, তাহলে সন্তানের জন্ম পর্যন্ত খোরপোষও দিতে হয়। এ ছাড়া সন্তান থাকলে তাদের ভরণপোষণ নিয়েও আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
প্রশ্ন ৫: তালাকের কাগজপত্র বাংলাদেশে পাঠাতে কী ধরনের সত্যায়ন দরকার?
উত্তর: তালাকপত্র এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি স্থানীয় দূতাবাসে নোটারী ও কনস্যুলার সত্যায়ন করতে হয়। এরপর সেগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হয়।
শেষ কথা।
বর্তমান সময়ে পরিবারগত সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়, বিশেষ করে যখন একজন জীবনসঙ্গী প্রবাসে থাকেন। বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে তা বেশ জটিল ও আইনি প্রক্রিয়াভিত্তিক। শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে তালাক বললেই সেটা বৈধ হয় না—এটা হতে হবে যথাযথ আইন মেনে, সুনির্দিষ্ট নোটিশ ও সময়সীমা অনুসরণ করে।
৯০ দিনের সময়সীমা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি—এই তিনটি বিষয় ছাড়া তালাক কার্যকর হবে না। অনেকেই এই নিয়ম না মেনে তালাক দেন, ফলে তা পরবর্তীতে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং স্ত্রী বা সন্তানের পক্ষ থেকে মামলা হতে পারে।
তাই আপনি যদি সত্যিই বিদেশ থেকে তালাক দিতে চান, তাহলে আগে নিয়ম জানুন, আইনজীবীর পরামর্শ নিন এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। ভুল পদ্ধতির কারণে ভবিষ্যতে শুধু মানসিক নয়, আইনি বিপর্যয়েও পড়তে পারেন। সবশেষে বলব—আইনের পথটাই নিরাপদ পথ, আবেগের নয়।
আর ও দেখুনঃ
- বাচ্চা সহ তালাক দেওয়ার নিয়ম
- কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
- বউ তালাক দিলে কি সরকারি চাকরি চলে যায়?
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |