ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার উপায় (সহজ ৮ টি পদ্ধতি)

বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রচলন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তেমনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও বাড়ছে। আগের দিনে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে শুধু বিনোদন বা সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে দেখত।

তবে এখন সময়ের সাথে সাথে এটি আয়ের ক্ষেত্রেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতোই এখন ইনস্টাগ্রামও ইনকামের জন্য একটি সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

ফেসবুক বা ইউটিউবের পাশাপাশি এখন আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকেও আয় করা সম্ভব।

এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশে অনেকেই এখন হাজার হাজার ডলার আয় করছেন।

ইনস্টাগ্রাম মূলত একটি ফটো এবং ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন ও সামাজিক মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।

আর সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো এটি মোবাইল-ভিত্তিক একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম, যা বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইলে ব্যবহারে অভ্যস্ত।

আজকের এই নিবন্ধে আমরা ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় নিয়ে আটটি সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো।

ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করার ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ উপায়

ইনস্টাগ্রামে কিছু পোস্ট করার পর পরিচিতজনদের কাছ থেকে লাইক বা কমেন্ট পাওয়া বেশ সহজ, যা সাময়িক আনন্দ দিতে পারে। তবে, এর আর্থিক কোনো মূল্য নেই।

কেমন হয় যদি ইনস্টাগ্রাম কেবল বিনোদনের মাধ্যম না হয়ে আপনার জীবনযাত্রা উন্নত করার একটি সুযোগে পরিণত হয়? আসুন জেনে নিই, কীভাবে ইনস্টাগ্রামকে আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

১) ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আয়

ইনফ্লুয়েন্সার কারা? সহজভাবে বলতে গেলে, ইনফ্লুয়েন্সার হলেন সেই ব্যক্তিরা যারা অন্যদের প্রভাবিত করতে সক্ষম।

যদি আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল জনপ্রিয় হয় এবং আপনাকে অনেক মানুষ অনুসরণ করে, তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আপনি সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফেসবুক বা ইউটিউবে আমরা প্রায়ই এমন ব্যক্তিদের দেখি, যাদের হাজার হাজার বা লাখ লাখ ফলোয়ার থাকে এবং যাদের কথার প্রতি মানুষের আস্থা থাকে।

তারা কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে তা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তারা সেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেন—এ ধরনের ব্যক্তিদেরই বলা হয় ইনফ্লুয়েন্সার।

অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য এমন ব্যক্তিদের খুঁজে, যারা সহজেই অন্যান্য মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।

ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এই কাজটি করে আপনি ভালো আয় করতে পারেন। তবে, কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার ফলোয়ারদের সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

তারা কোন ধরনের পণ্য পছন্দ করতে পারে, তা বুঝে নিলে সেই অনুযায়ী পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। এটিকে এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট 

২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

বর্তমান সময়ে বিনিয়োগ ছাড়াই ঘরে বসে আয় করতে চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বড় সুযোগ হতে পারে।

এই কাজটি করতে বিশাল জ্ঞান বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব, বা ইনস্টাগ্রাম সব জায়গাতেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়, যা শেখা এবং শুরু করা একদম ফ্রি।

সহজভাবে বলতে গেলে, ধরুন আপনার কাছে কোনো পণ্য নেই, তবে অন্য কারো পণ্য প্রচার করে সেই পণ্য বিক্রি করতে সহায়তা করলেন; এতে করে আপনি বিক্রয় অনুযায়ী কমিশন পাবেন।

এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং—অন্যের পণ্য বিক্রি করে আয় করার পদ্ধতি। অনলাইনে এই কাজটি আরো সহজ হয়ে যায়, কারণ যত বেশি মানুষ সেই পণ্য কিনবে, আপনার কমিশন তত বাড়বে।

উদাহরণ হিসেবে ধরুন, MSB Academy তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের প্রতিটি কোর্স বিক্রির জন্য ২০% কমিশন দেয়।

অর্থাৎ, যদি একজন শিক্ষার্থী কোনো অ্যাফিলিয়েটের লিঙ্ক ব্যবহার করে ৩০০০ টাকার একটি কোর্স কেনেন, তাহলে সেই অ্যাফিলিয়েট পাবেন ৬০০ টাকা কমিশন।

এইভাবে প্রতিদিন কয়েকটি কোর্স বিক্রি করে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সহজেই হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুক স্টার কিভাবে পাওয়া যায়

৩) নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়

আপনার নিজের পণ্য থাকলে আপনি সহজেই ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও, দেশের বাইরে থেকে আনা চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চমানের পণ্যও এখানে বিক্রির জন্য চমৎকার সুযোগ পাবে।

ব্যবসা চালানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন হয়, এবং ইনস্টাগ্রাম সেই প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।

ইনস্টাগ্রাম শপ ব্যবহার করে সরাসরি পণ্য বিক্রি করা সম্ভব, এবং চাইলে প্রয়োজনীয় লিংক যোগ করা যায়, যা ফলোয়ারদের নির্দিষ্ট পণ্যটি কেনার পথে সহজে নিয়ে যাবে।

আপনি প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মে আপনার ডিজাইন আপলোড করে তা ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বিক্রি করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, Merch by Amazon, Teespring বা Redbubble-এ আপনার ডিজাইন আপলোড করে টি-শার্ট, হুডি, ফোন কেসসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারেন।

এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে অর্ডার এলে প্রিন্টিং থেকে শুরু করে ডেলিভারির পুরো প্রক্রিয়াটি তারা নিজেরাই সম্পন্ন করে।

৪) ড্রপশিপিং করে আয়

ড্রপশিপিং এক ধরনের অনলাইন ব্যবসা যেখানে আপনি সরাসরি পণ্য মজুদ না রেখেই ক্রেতার প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করবেন। সহজভাবে বললে, আপনার একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্যের তালিকা থাকবে।

ধরুন, এক গ্রাহক আপনার ওয়েবসাইট থেকে একটি হেডফোন অর্ডার করল। আপনি সেই হেডফোনটি অন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করে গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন।

এখানে আপনার কাছে কোনো পণ্য না থাকলেও, আপনি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করবেন।

ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে একটি ড্রপশিপিং স্টোর তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে আপনি এই পণ্যগুলো লিস্ট করবেন এবং অর্ডার পেলে সরবরাহের কাজটি পরিচালিত হবে।

আরও দেখুৃন: কোটি টাকা আয় করার উপায়

৫) নতুনদের সাহায্য করে আয়

সবাই সব ক্ষেত্রে দক্ষ হয় না। আপনি যদি ইনস্টাগ্রামে বিশেষজ্ঞ হন এবং জনপ্রিয় হয়ে থাকেন, তাহলে নতুনদের সহায়তা করে আয় করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রামে যারা নতুন এবং দ্রুত পরিচিতি লাভ করতে চায়, তাদের জন্য অনলাইন কোর্স বা পরামর্শ সেবা দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অনেকেই জানে না কীভাবে স্পনসরশিপ রিকোয়েস্ট করতে হয়, বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয় বা ভুয়া ফলোয়ার চিহ্নিত করতে হয়।

যারা নিজেদের ব্র্যান্ডকে পরিচিত করতে চান, কিন্তু পদ্ধতিগুলো জানেন না, তাদেরকে আপনার দক্ষতা দিয়ে সহায়তা করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

৬) ক্যাপশন বিক্রি করে আয়

ইনস্টাগ্রামে ব্যবসায়িক প্রচারের জন্য আকর্ষণীয় ও উচ্চ রিচ পাওয়া ক্যাপশন তৈরি করার ক্ষেত্রে কিছু কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্যাপশন একটি পোস্টের প্রভাবকে দ্বিগুণ করতে পারে, কারণ এটি শুধু দৃষ্টি আকর্ষণই করে না, বরং ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে সহায়ক হয়।

যদি এই কাজে নিয়োগ পেতে চান, তাহলে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে কয়েকটি উদাহরণ হিসেবে ভালো মানের ক্যাপশন যুক্ত করে রাখুন।

এমন পোস্টগুলির লিংকও শেয়ার করতে পারেন যেগুলোতে আপনার ক্যাপশন ব্যবহার করে ভালো রিচ এসেছে। নিয়োগকর্তা যখন আপনার কাজ পরখ করবেন, এই উদাহরণগুলো তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে।

৭) অ্যানিমেশন ভিডিও ও ছবি বিক্রি করে আয়

অনেক কোম্পানি, ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন ব্যবসায়ী তাদের বিভিন্ন ডিজিটাল কন্টেন্ট, ব্রোশিওর, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির জন্য স্টক ইমেজের উপর নির্ভর করেন।

এই ছবিগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ফটোগ্রাফার ভাড়া করার খরচ কমিয়ে আনতে পারেন। ফলে, অ্যানিমেশন বা স্টক ফটোগ্রাফির মতো তৈরি করা ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের গুরুত্ব বাড়ছে।

ইনস্টাগ্রাম একটি ছবি-কেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় এখানে ছবি বিক্রি করা আয়ের ভালো সুযোগ হতে পারে।

আপনি যদি ফটোগ্রাফি বা ডিজাইনে দক্ষ হন এবং আকর্ষণীয় পোস্টার বা ফটোগ্রাফ তৈরি করতে পারেন, তবে ইনস্টাগ্রামে সেগুলি বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

নিজের প্রোফাইলকে একটি পোর্টফোলিও হিসেবে সাজিয়ে সেখানে সুন্দর ফটোগ্রাফ বা ডিজাইন আপলোড করুন, যা দেখে সম্ভাব্য ক্রেতারা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবে।

ইনস্টাগ্রামে আয় বাড়ানোর জন্য শুধু ফটোগ্রাফি নয়, বিভিন্ন পেইন্টিং, ড্রয়িং, অ্যানিমেশন এবং ভিডিও তৈরি করেও কাজ করা যায়।

পোস্টের উপরে আকর্ষণীয় ক্যাপশন দিয়ে এগুলি শেয়ার করলে তা আরও দর্শকের কাছে পৌঁছায়। অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরির দক্ষতা না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই; MSB Academy-তে রয়েছে Animation Marketing Masterclass in Bangla কোর্স।

এই কোর্সটি শেখার মাধ্যমে আপনি একজন দক্ষ অ্যানিমেশন ভিডিও নির্মাতা হতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্।

৮) জনপ্রিয় প্রোফাইল বিক্রি করে টাকা আয়

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো জনপ্রিয় প্রোফাইল বিক্রি করা। অনেক ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রামে সময় এবং পরিশ্রম দিয়ে এমন একটি আইডি তৈরি করেন যেখানে লাখ লাখ ফলোয়ার থাকে।

এই ধরনের প্রোফাইল তৈরি করে তা বিক্রি করে সহজেই আয় করা যায়। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য বড় ফলোয়ার সমৃদ্ধ আইডি কিনে থাকে, যা তাদের মার্কেটিং প্রচার কার্যক্রমে সহায়ক হয়।

সুতরাং, আপনি চাইলে আপনার জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম আইডি বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এর বাইরে ইনস্টাগ্রামে ইনকামের আরও অনেক উপায় রয়েছে। সুখবর হলো, মোবাইল ফোন দিয়ে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয়, CPA মার্কেটিং, প্রোফাইল বিক্রয় ইত্যাদি আরও বিভিন্ন মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি নিয়ে MSB Academy-তে একটি সম্পূর্ণ কোর্স প্রকাশিত হয়েছে।

কিছু নিয়ম ও গোপন কৌশল অনুসরণ করে প্রতি মাসে কীভাবে ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব, তার প্রমাণিত কৌশল এই কোর্সে শেয়ার করা হয়েছে।

নতুন আর্টিকেল: অল্প বয়সে টাকা ইনকাম করার উপায়

ইনস্টাগ্রাম কি?

ইনস্টাগ্রাম একটি বিনামূল্যের অনলাইন ফটো শেয়ারিং অ্যাপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা ২০১২ সালে ফেসবুক কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়।

এখানে ব্যবহারকারীরা ছবি, সংক্ষিপ্ত ভিডিও এবং তাদের লেখনী পোস্ট করে শেয়ার করতে পারেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.৭০৪ বিলিয়ন মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে এবং প্রতি মাসে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১ বিলিয়নেরও বেশি।

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট যেভাবে ওপেন করবেন

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

যদিও ইনস্টাগ্রাম ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে যাত্রা শুরু করে, শুরুতে এটি কেবল আইওএস ডিভাইসের জন্য ছিল।

তবে ২০১২ সাল থেকে এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমেও সহজলভ্য হয়, তাই এখন আপনি সহজেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।

এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এমন একটি ইউজারনেম নির্বাচন করা ভালো যা আপনার প্রোফাইলের সঙ্গে মানানসই এবং আকর্ষণীয়।

আপনি আপনার নিজ নাম ব্যবহার করেও প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন, যা আরও বেশি কার্যকর।

আরও পড়ুন: ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন শর্ত

পেশাদারিত্বের সাথে প্রোফাইল তৈরি করুন 

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করতে হলে প্রোফাইলটি সুন্দর ও পেশাদারিত্বের সাথে সাজানো অত্যন্ত জরুরি।

একটি সাধারণ প্রোফাইল দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না, তাই প্রোফাইলটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এটি আকর্ষণীয় ও আলাদা হয়।

ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রোফাইল পিকচার, ব্যবহারকারীর নাম, ওয়েবসাইট লিংক এবং বায়োসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প পাবেন।

প্রতিটি বিকল্পই প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় ও পরিচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, এমন একটি ইউজারনেম নির্বাচন করুন যা সহজে মনে রাখা যায় এবং সার্চে সহজে পাওয়া যায়।

আপনার যদি কোনো ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট থাকে তবে সেটির লিংক ইনস্টাগ্রামে যুক্ত করুন।

বায়ো বিভাগে সংক্ষেপে নিজের পরিচয়, দক্ষতা, এবং প্রোফাইলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখুন, যা দর্শকদের আপনার সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা দেবে।

ব্যবসা থাকলে, সেটিকেও প্রোফাইলে উপস্থাপন করতে পারেন। প্রোফাইলের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করার পর নিয়মিত সেই বিষয়ের পোস্ট দিয়ে সক্রিয় থাকুন, যা সেই বিষয়টিতে আগ্রহী অন্যান্য ব্যক্তিদের সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে।

লেখালেখি, প্রোগ্রামিং, বা অন্য কোনো বিশেষ দক্ষতা থাকলে সেটিকে আপনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে বিশেষায়িত প্রোফাইল তৈরি করতে সাহায্য করবে।

উপসংহার

ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব তবে সৃজনশীলতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে। সময়মতো পোস্ট করা, ফলোয়ারদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা এবং ব্র্যান্ডগুলোর সাথে পেশাদার সম্পর্ক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি স্থায়ী আয়ের উৎস তৈরি করা সম্ভব। আশাকরি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও জানুন:

DISCLAIMER

এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।

WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
 Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us 
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- Follow Us
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন Follow Us
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন Follow Us

Author

  • Ruthy Musa

    আমি রুথি মুসা, Wikiofpro.com-এর একজন লেখক। আমি পাঠকদের তথ্য প্রদান এবং অনুপ্রাণিত করার জন্য সাধারণ বিষয়গুলি গভীরভাবে শেয়ার করি। আমার লক্ষ্য হল সঠিক তথ্য এবং ব্যাপক জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, যাতে তারা আরও সাবলীল এবং সফলভাবে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারে।

    View all posts

Leave a Comment