স্পেন তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, চমৎকার শিক্ষাব্যবস্থা, এবং আকর্ষণীয় কাজের বাজারের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাত্রা সহজ হয়েছে আধুনিক ভিসা প্রক্রিয়া এবং উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে।
এই আর্টিকেলে আমরা উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য স্বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায় এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটা উপায় রয়েছে। যেমন,
১. উচ্চ শিক্ষার জন্য: উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের নাগরিক স্পেন যেতে পারে। উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে হলে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে।
২. পর্যটক হিসেবে/ভিজিটর হিসাবে: টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ নাগরিক স্পেন যেতে পারবে।
৩. কর্মসংস্থানের জন্য: কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশের নাগরিক স্পেন যেতে পারবে। কাজের জন্য স্পেন যেতে হলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে। যেহেতু এই দুটি দেশ ভৌগোলিকভাবে বেশ দূরে অবস্থিত, তাই বিমানপথে ভ্রমণ সবচেয়ে সাধারণ এবং সুবিধাজনক মাধ্যম। নিচে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর থেকে স্পেন যাওয়ার যাতায়াত ব্যবস্থার বিবরণ দেওয়া হলো:
বিমানের মাধ্যমে যাত্রা
১. ঢাকা থেকে স্পেন:
ঢাকা, বাংলাদেশের প্রধান শহর এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (DAC) থেকে স্পেনের বিভিন্ন শহরে সহজে ফ্লাইট পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যাত্রা শুরু হয় ঢাকা থেকে এবং যাত্রাপথে এক বা একাধিক স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্টপওভার করতে হয়।
- প্রধান গন্তব্য: মাদ্রিদ (MAD), বার্সেলোনা (BCN), মালাগা (AGP)।
- এয়ারলাইনস: কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, তুর্কি এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স প্রভৃতি।
- ফ্লাইট সময়: সাধারণত ১৪ থেকে ২০ ঘণ্টা, স্টপওভারের ওপর নির্ভর করে।
২. অন্যান্য শহর থেকে:
যদিও ঢাকাই প্রধান হাব, চট্টগ্রাম (CGP) ও সিলেট (ZYL) থেকেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রয়েছে। তবে সেগুলো সাধারণত প্রথমে ঢাকায় এসে যুক্ত হয় এবং পরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সংযোগ করে।
উচ্চ শিক্ষা জন্য বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায়
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক গবেষণা সুবিধা, এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে। নিম্নে আমরা স্পেনের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ধাপগুলি কী কী, তা নিয়ে আলোচনা করব।
কেন স্পেনে উচ্চ শিক্ষা?
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউরোপ এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে, যেমন গবেষণা সুবিধা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, এবং অনেক বিষয়ের উপর বিশেষায়িত কোর্স।
এছাড়া, স্পেনে বসবাসের খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষতা অর্জন করাও একটি অতিরিক্ত সুবিধা, যা আপনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সুযোগ এনে দিতে পারে।
আরও দেখুনঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সসমূহ
স্পেনে অনেক উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিছু প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে:
- Universidad de Barcelona (UB)
- Universidad Complutense de Madrid (UCM)
- Universidad Autónoma de Madrid (UAM)
- Universitat Pompeu Fabra (UPF)
এসব বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান, মেডিসিন ইত্যাদি বিষয়ে কোর্স অফার করে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
স্পেনে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র প্রয়োজন:
- বৈধ পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন সময়কাল থেকে কমপক্ষে ৬ মাস বেশি থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ: সার্টিফিকেট, মার্কশীট, এবং ট্রান্সক্রিপ্ট।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার: স্পেনের একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণের প্রমাণ।
- ভাষার দক্ষতার প্রমাণ: সাধারণত IELTS বা TOEFL এর মাধ্যমে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। কিছু কোর্সের জন্য স্প্যানিশ ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে।
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্পনসরশিপ লেটার।
- স্বাস্থ্য বীমা: স্পেনের অবস্থানকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের জন্য বীমা পলিসি।
ভিসা প্রক্রিয়া
স্পেনে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থী ভিসার প্রয়োজন। শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- ভিসার ধরন: শিক্ষার্থী ভিসা (Type D)।
- আবেদন ফি: প্রায় ৬০-৮০ ইউরো, যা পরিবর্তনশীল।
- আবেদন প্রক্রিয়া:
- অনলাইন বা দূতাবাসে সরাসরি আবেদন জমা দেওয়া।
- প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত এবং জমা দেওয়া।
- সাক্ষাৎকার (যদি প্রয়োজন হয়)।
- ভিসা প্রাপ্তি: সাধারণত ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। তবে দূতাবাসের ওপর নির্ভর করে সময় কমবেশি হতে পারে।
স্পেনে পৌঁছানোর পর
স্পেনে পৌঁছানোর পর কিছু অতিরিক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
- রেসিডেন্স পারমিট: ৯০ দিনের বেশি অবস্থানের জন্য রেসিডেন্স পারমিটের আবেদন করতে হবে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন: বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম নিবন্ধন করা।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা: স্পেনে থাকার সময় সহজ লেনদেনের জন্য একটি স্থানীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা।
পর্যটক হিসাবে বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায়
স্পেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, এবং আকর্ষণীয় জীবনযাত্রা বিশ্বের পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু, সুস্বাদু খাবার, এবং উজ্জ্বল উৎসবের দেশ স্পেন, যেকোন পর্যটকের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়া বেশ সহজ হয়ে উঠেছে আধুনিক বিমান পরিষেবা এবং সহজ ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে। চলুন দেখি কিভাবে পর্যটক হিসাবে স্পেনে ভ্রমণ করা যায়।
ভ্রমণের পরিকল্পনা
স্পেনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিত:
- ভ্রমণের সময়:
- স্পেনে ভ্রমণের সেরা সময় হলো বসন্ত (মার্চ-মে) এবং শরৎ (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর)। এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত।
- যাতায়াত ব্যবস্থা:
- বিমান: বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুত এবং সাধারণ মাধ্যম হলো বিমানপথে ভ্রমণ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি স্পেনে কোনো ফ্লাইট নেই, তবে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে ট্রানজিট নিয়ে স্পেনে যাওয়া যায়। কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, তুর্কি এয়ারলাইন্স ইত্যাদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ট্রানজিট সহ সহজেই স্পেনে পৌঁছানো যায়।
- থাকার ব্যবস্থা:
- স্পেনের বিভিন্ন শহরে হোটেল, রিসর্ট, এবং এয়ারবিএনবি সুবিধা রয়েছে। আগে থেকেই বুকিং করলে থাকার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয়।
ভিসা প্রক্রিয়া
স্পেনে পর্যটক হিসাবে ভ্রমণের জন্য শেনজেন ভিসার প্রয়োজন হয়, কারণ স্পেন শেনজেন এলাকার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য শেনজেন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- ভিসা আবেদন ফর্ম: সঠিকভাবে পূরণকৃত এবং স্বাক্ষরিত।
- বৈধ পাসপোর্ট: মেয়াদ কমপক্ষে ৩ মাস অতিরিক্ত থাকতে হবে।
- ফটো: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ভ্রমণের প্রমাণ: বিমানের রিটার্ন টিকিট এবং হোটেল বুকিং।
- অর্থনৈতিক সচ্ছলতার প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ইনকাম প্রুফ।
- ভ্রমণ বীমা: পুরো শেনজেন অঞ্চলে বৈধ এবং কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো কভারেজ।
- ভিসা ফি:
- শেনজেন ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো ফি দিতে হয়।
- আবেদন প্রক্রিয়া:
- আবেদনপত্র এবং নথিপত্র প্রস্তুত করে স্পেনে বাংলাদেশি দূতাবাস বা ভিসা আবেদন কেন্দ্র (ভিএফএস গ্লোবাল) এ জমা দিতে হয়।
- প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হতে পারে।
- ভিসা প্রসেসিং সময়:
- সাধারণত ১৫ দিন সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে, তাই আগেই আবেদন করা ভালো।
স্পেনে পর্যটক হিসাবে আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
স্পেনে পর্যটক হিসাবে ভ্রমণ করার সময় কিছু প্রধান আকর্ষণীয় স্থান অবশ্যই দেখা উচিত:
- বার্সেলোনা: গাউডির স্থাপত্যশৈলী, বিশেষ করে লা সাগ্রাদা ফ্যামিলিয়া এবং পার্ক গুএল, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্থাপত্য। এছাড়াও, বার্সেলোনার বীচ এবং প্রাণবন্ত নাইটলাইফ পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে।
- মাদ্রিদ: স্পেনের রাজধানী এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র। মাদ্রিদে রয়্যাল প্যালেস, পলাসিও রিয়েল, এবং প্রাডো মিউজিয়াম অত্যন্ত জনপ্রিয়।
- সেভিল: আন্দালুসিয়ার ঐতিহাসিক শহর, যেখানে আলকাজার এবং সেভিল ক্যাথেড্রাল পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
- গ্রানাডা: আলহাম্ব্রা প্যালেস এর জন্য বিখ্যাত, যা মুরিশ স্থাপত্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ।
- ভ্যালেন্সিয়া: এর সমুদ্র সৈকত এবং বিজ্ঞান ও শিল্প নগরী (Ciutat de les Arts i les Ciències) এর জন্য পরিচিত।
খাদ্য ও সংস্কৃতি
স্পেনের খাবার এবং সংস্কৃতি তার দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। স্পেনের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে পায়েলা, তাপাস, টরটিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, স্পেনের ফ্লামেংকো নাচ এবং সঙ্গীতও দর্শকদের মুগ্ধ করে। স্থানীয় উৎসব, যেমন লা টোমাটিনা এবং ফিয়েস্তা, স্পেনের সংস্কৃতির অংশ।
ওয়ার্ক পারমিট হিসাবে বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায়
স্পেনে কাজ করার সুযোগ বাংলাদেশের পেশাজীবীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ। এটি শুধুমাত্র ভাল কর্মসংস্থানের সুযোগই প্রদান করে না, বরং স্প্যানিশ সংস্কৃতি এবং ভাষার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও দেয়।
স্পেনে কাজ করতে চাইলে সঠিক ওয়ার্ক পারমিট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্পেনের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে, তবে সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে চললে এটি সহজ হয়ে উঠতে পারে।
কেন স্পেনে কাজ করবেন?
স্পেন একটি উন্নত দেশ যেখানে প্রযুক্তি, কৃষি, পরিষেবা খাত, পর্যটন, এবং আরো অনেক সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। উচ্চ জীবনযাত্রার মান, নিরাপদ পরিবেশ, এবং ভাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কারণে অনেক পেশাজীবী স্পেনে কাজ করতে আগ্রহী। এছাড়া, স্পেনের কর্মসংস্কৃতি এবং কাজের পরিবেশও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।
ওয়ার্ক পারমিটের প্রকারভেদ
স্পেনে ওয়ার্ক পারমিটের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যা কাজের ধরণ এবং সময়সীমার উপর নির্ভর করে। প্রধান কয়েকটি ওয়ার্ক পারমিটের প্রকারভেদ হলো:
- শর্ট-টার্ম ওয়ার্ক ভিসা: অস্থায়ী কাজের জন্য।
- লং-টার্ম ওয়ার্ক ভিসা: স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্য।
- ইন্ট্রা-কোম্পানি ট্রান্সফার ওয়ার্ক ভিসা: একটি বহুজাতিক কোম্পানির অভ্যন্তরে স্থানান্তরের জন্য।
- EU Blue Card: উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবীদের জন্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য সুযোগ প্রদান করে।
আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
স্পেনে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করতে হয়:
- নিয়োগপত্র: স্পেনে নিয়োগকারী কোম্পানি থেকে একটি বৈধ নিয়োগপত্র থাকতে হবে।
- কাজের প্রয়োজনীয়তা: কাজের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে আপনার যোগ্যতা মেলে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
- ভাষার দক্ষতা: স্প্যানিশ বা ইংরেজি ভাষার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন হতে পারে, যা চাকরির ধরণের ওপর নির্ভর করে।
- আর্থিক সচ্ছলতা: স্পেনে থাকার সময় নিজেকে আর্থিকভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র প্রয়োজন হয়:
- পাসপোর্ট: বৈধ এবং মেয়াদী।
- নিয়োগপত্র: স্পেনে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে।
- কাজের চুক্তি: নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীর মধ্যে।
- কাজের অনুমতি: স্পেনের শ্রম ও অভিবাসন দপ্তর থেকে অনুমোদন।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: সার্টিফিকেট এবং ডিগ্রী।
- অপরাধমুক্ত সনদ: বাংলাদেশ পুলিশ থেকে।
- চিকিৎসা পরীক্ষা: স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন।
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
স্পেনে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
- চাকরির প্রস্তাব: স্পেনে একটি কোম্পানির কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করুন।
- কাজের অনুমতি: নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান স্পেনের শ্রম ও অভিবাসন দপ্তরে কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করবে।
- ভিসার আবেদন: কাজের অনুমতি পাওয়ার পর, বাংলাদেশে স্পেনের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার আবেদন করতে হবে।
- নথিপত্র জমা: প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র জমা দিতে হবে।
- সাক্ষাৎকার: প্রয়োজন হলে দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে।
- ভিসা প্রাপ্তি: আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভিসা প্রদান করা হবে।
আরও জানুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
স্পেনে পৌঁছানোর পর
স্পেনে পৌঁছানোর পর কিছু অতিরিক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
- রেসিডেন্স কার্ড: ওয়ার্ক পারমিট অনুযায়ী স্পেনে রেসিডেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।
- সমাজবিজ্ঞান সুরক্ষা: স্পেনের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় নিবন্ধন করতে হবে।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা: স্পেনে থাকাকালীন আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা প্রয়োজন।
উপসংহার
স্পেন, তার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং উদ্ভাবনী কাজের বাজারের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন বা কাজের জন্য স্পেন যাওয়ার জন্য উপযুক্ত নথিপত্র এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক তথ্য এবং প্রস্তুতি থাকলে, স্পেন যাত্রা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। আমাদের আজকের বিষয় ছিল বাংলাদেশ থেকে স্পেন যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। যারা স্পেন যেতে চান, আশাকরি তারা উপরিউক্ত নিবন্ধ পড়ে উপকৃত হবেন।
আর ও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়ার উপায়
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |
I Singapore working 7.5 month. I have Singapore welding certificate. Now i want to go Spain, so how do possible?