মামলা থাকলে কি সরকারি চাকরি হয়? (যে মামলায় চাকরি হয়না)

সরকারি চাকরি একটি সম্মানজনক পেশা। তবে এই পেশায় প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতার পাশাপাশি চরিত্রগত কিছু মানদণ্ডও থাকে। 

এই মানদণ্ডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অপরাধমুক্ত থাকা। তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে মামলা থাকলে কি সরকারি চাকরি হয়? 

আজকের পোস্টে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। দেরী না করে চলুন আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করি।

মামলা থাকলে কি সরকারি চাকরি হয়?

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিককে পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইনে নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে যে কোন বাংলাদেশি নাগরিক তার পছন্দমতো কোন পেশা বা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

এই স্বাধীনতা আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিককে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার এবং নিজের জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়। তবে বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারত্বের হার বেশি। 

তাই অনেকেই সরকারি চাকরিকেই সবচেয়ে নিরাপদ ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে মনে করেন। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে হয়। 

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটা অনেক কঠিন। কারণ প্রতিটি সরকারি চাকরির জন্য প্রচুর প্রার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিতে হয়। 

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অনেক চাকরিতে নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন বা পুলিশ তদন্ত করা বাধ্যতামূলক। এই তদন্তের মাধ্যমে আবেদনকারীর অতীতের বিষয়গুলি যাচাই করা হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে এই তদন্ত আরও কঠোর হতে পারে। 

এখানে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও যুক্ত থাকে। এখন প্রশ্ন হল যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকে তাহলে কি সে চাকরি পেতে পারবে না? এটি একটি সাধারণ ধারণা হলেও সবসময় সত্য নয়।

 চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মামলার প্রভাব মূলত মামলার ধরনের উপর নির্ভর করে। সব ধরনের মামলাই চাকরি পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

আরও পড়ুনঃ মামলা থাকলে ও এখন বিদেশ যেতে পারবেন, নতুন নিয়ম

যে মামলায় চাকরি হয়না

ফৌজদারি মামলা সাধারণত ব্যক্তি বা সমাজের স্বাভাবিক চলাচলকে ব্যাহত করে এমন অপরাধের বিচারের জন্য দায়ের করা হয়। এই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির চরিত্র এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে যা অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় নযা। ফলে ফৌজদারি মামলায় জড়িত ব্যক্তির চাকরি পাওয়া বা বর্তমান চাকরি ধরে রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

মামলা নিষ্পত্তি হলে চাকরি কি হবে?

আপনি যদি কোনো ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকেন এবং চাকরি করতে চান তাহলে মামলার নিষ্পত্তির ফলাফল আপনার চাকরির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ফৌজদারী মামলা মূলত ২ ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে যথা:

১. অব্যাহতি

যদি আদালত আপনাকে অপরাধের দায়মুক্ত ঘোষণা করে তাহলে আপনি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন বলা হয়। এই ক্ষেত্রে আপনার চাকরির উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। আপনি স্বাভাবিকভাবেই চাকরি করতে পারবেন।

২. রায়

আদালত যদি আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাহলে আপনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। রায় দুই ধরনের হতে পারে:

• খালাস: যদি আপিল করার পর আদালত আপনাকে দোষমুক্ত ঘোষণা করে তাহলে আপনি খালাস পেয়েছেন বলা হয়। এই ক্ষেত্রেও আপনার চাকরির উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
• সাজা: যদি আপিল করার পরও আদালত আপনাকে দোষী সাব্যস্ত রাখে তাহলে আপনাকে সাজা দেওয়া হবে। সাধারণত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সরকারি চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকে।

আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

শেষ কথা

মামলা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া সম্ভব হলেও তা খুব কঠিন হতে পারে। মামলার ধরন, গুরুত্ব এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে এর প্রভাব পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণত মামলা একটি নেতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।

আমাদের আজকের আলোচনা এই পর্যন্তই। এছাড়া আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

আর ও পড়ুনঃ

• বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম 
• বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
• বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়ার উপায়

DISCLAIMER

এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।