নেদারল্যান্ডস, তার সুন্দর টিউলিপ ক্ষেত, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, এবং প্রাচীন খালের জন্য বিখ্যাত। এটি ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিক্ষা ও পর্যটন গন্তব্য।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য, নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার বিভিন্ন উপায় আছে, যেমন উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, এবং কাজের জন্য। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার কয়েকটি উপায় আছে। এর মধ্যে অন্যতম তিনটি প্রধান উপায় হলো:
উচ্চ শিক্ষার জন্য: উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের মানুষ নেদারল্যান্ডস যেতে পারে। এর জন্য স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজন হবে।
পর্যটক হিসাবে: একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশের নাগরিক নেদারল্যান্ডস যেতে পারবে। এর ভ্রমণ ভিসার প্রয়োজন হবে।
ওয়ার্ক পারমিট হিসাবে: বাংলাদেশের নাগরিক কর্মসংস্থানের জন্য নেদারল্যান্ডস যেতে পারে। এটার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন।
যাতায়াত ব্যবস্থা
নেদারল্যান্ডসে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ফ্লাইট বুক করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম স্কিপল বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়। কিছু প্রধান বিমান সংস্থা হল:
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
- কাতার এয়ারওয়েজ
- এমিরেটস
ফ্লাইটের সময় এবং টিকিটের মূল্য নির্ভর করবে আপনার যাত্রার সময় এবং বুকিংয়ের তারিখের উপর।
আরও দেখুনঃ IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায়
নেদারল্যান্ডসে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। নিম্নে আমরা নেদারল্যান্ডসে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা, আবেদন প্রক্রিয়া, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
নেদারল্যান্ডসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রথম ধাপ হল একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা। কিছু প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের বিশেষত্বগুলি হল:
- ডেলফট ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (TU Delft): প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিখ্যাত।
- ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি রটারডাম: ব্যবসা ও অর্থনীতির জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ।
- ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টারডাম (UvA): সমাজবিজ্ঞান এবং মানবিক বিজ্ঞানের জন্য বিখ্যাত।
- ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি: কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়।
ভর্তি প্রক্রিয়া
একবার আপনি আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করলে, আপনাকে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে:
- আবেদনপত্র পূরণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট জমা: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সুপারিশ পত্র, এবং SOP (Statement of Purpose) জমা দিতে হবে।
- ভর্তি পরীক্ষা: কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে ভর্তি পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে।
ভিসা প্রক্রিয়া
ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনাকে শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার্থী ভিসা পাওয়ার ধাপগুলি হল:
- ভিসা আবেদনপত্র পূরণ: নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট জমা: পাসপোর্ট, ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র, আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ, এবং স্বাস্থ্য বীমার কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- ভিসা ফি প্রদান: ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
আবাসন ব্যবস্থা
নেদারল্যান্ডসে থাকার জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই আবাসনের ব্যবস্থা করে, আবার কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে নিজেই আবাসন খুঁজে নিতে হবে। আবাসনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের কাছাকাছি আবাসনের ব্যবস্থা করে।
- বেসরকারি আবাসন: আপনি চাইলে বেসরকারি আবাসনেও থাকতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাহায্যে ফ্ল্যাট বা রুম খুঁজে নিতে পারেন।
স্বাস্থ্য বীমা
নেদারল্যান্ডসে শিক্ষার্থী হিসেবে থাকতে হলে স্বাস্থ্য বীমা করা বাধ্যতামূলক। কিছু স্বাস্থ্য বীমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হল:
- AON Student Insurance
- Lippmann Insurance
- Insure To Study
আরও দেখুনঃ মেডিকেল ছাড়া কোন দেশে যাওয়া যায়
আর্থিক সহায়তা ও স্কলারশিপ
নেদারল্যান্ডসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে গেলে অনেক খরচ হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায় যা আপনাকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। কিছু প্রধান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হল:
- হল্যান্ড স্কলারশিপ: নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রদত্ত একটি স্কলারশিপ।
- ইরাসমাস মুণ্ডুস স্কলারশিপ: ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।
- নেদারল্যান্ডস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম: উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।
পর্যটক হিসাবে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হতে পারে। নিম্নে, আমরা নেদারল্যান্ডসে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করার প্রয়োজনীয় তথ্য, ভিসা প্রক্রিয়া, এবং আকর্ষণীয় স্থানের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভিসা প্রক্রিয়া
নেদারল্যান্ডসে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- ভিসা প্রকার নির্বাচন: শেনজেন ভিসা ৯০ দিনের জন্য পর্যটন, ব্যবসা বা পরিবারিক ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যায়।
- আবেদনপত্র পূরণ: শেনজেন ভিসার আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করতে হবে। ভিসার আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- কাগজপত্র জমা: আপনার আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে:
- পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
- ফ্লাইট বুকিং এর প্রমাণ
- হোটেল বুকিং এর প্রমাণ
- ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স (মোট কভারেজ কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাসের)
- নেদারল্যান্ডস ভ্রমণের সময়সূচী
- ভিসা ফি প্রদান: শেনজেন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে। সাধারণত এটি ৬০ ইউরো হয়ে থাকে, তবে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
- ভিসা ইন্টারভিউ: দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা ইন্টারভিউ দেওয়া লাগতে পারে। ইন্টারভিউতে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
আবাসন ব্যবস্থা
নেদারল্যান্ডসে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসন ব্যবস্থা পাওয়া যায়:
- হোটেল: বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে, যা আপনার বাজেট অনুযায়ী বুক করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় হোটেল বুকিং ওয়েবসাইট হল Booking.com, Agoda, এবং Airbnb।
- হোস্টেল: যদি আপনি কম খরচে থাকতে চান, তবে হোস্টেল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। কিছু জনপ্রিয় হোস্টেল বুকিং ওয়েবসাইট হল Hostelworld এবং Hostels.com।
- এয়ারবিএনবি: এয়ারবিএনবি থেকে আপনি স্থানীয়দের কাছ থেকে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেন। এটি আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং কম খরচে হতে পারে।
পর্যটন স্থানসমূহ
নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণ করার সময় কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান অবশ্যই দেখা উচিত:
- আমস্টারডামের খাল: আমস্টারডাম তার সুন্দর খালের জন্য বিখ্যাত। নৌকায় ভ্রমণ করে এই খালগুলো উপভোগ করতে পারেন।
- ভ্যান গগ মিউজিয়াম: বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গগের চিত্রকর্ম দেখার জন্য ভ্যান গগ মিউজিয়াম অবশ্যই দেখতে হবে।
- কিউকেনহোফ গার্ডেন: টিউলিপের জন্য বিখ্যাত এই গার্ডেন বসন্তকালে দেখতে অত্যন্ত মনোরম।
- রাইকসমিউজিয়াম: ডাচ শিল্প এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা।
- জাঙ্কারক মিউজিয়াম: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যানা ফ্রাঙ্কের পরিবার যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিল, তা এখন জাঙ্কারক মিউজিয়াম নামে পরিচিত।
- রটারডাম: আধুনিক স্থাপত্য এবং বন্দর এলাকার জন্য বিখ্যাত। এখানে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বন্দর অবস্থিত।
খাদ্য ও পানীয়
নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণ করার সময় স্থানীয় খাবার ও পানীয় উপভোগ করতে ভুলবেন না। কিছু জনপ্রিয় ডাচ খাবার হল:
- স্ট্রুপওয়াফেল: দুটি পাতলা ওয়াফেলের মধ্যে ক্যারামেল ভর্তি থাকে।
- হারিং: কাঁচা মাছ যা সাধারণত পেঁয়াজ ও আচার দিয়ে খাওয়া হয়।
- প্যানকেক: ডাচ প্যানকেক একটু মোটা হয় এবং মিষ্টি বা মশলাদার দুই ধরনেরই পাওয়া যায়।
- ডাচ চিজ: গৌডা এবং এডাম চিজ বিশ্ববিখ্যাত।
নিরাপত্তা ও পরামর্শ
নেদারল্যান্ডস সাধারণত পর্যটকদের জন্য নিরাপদ একটি দেশ। তবে কিছু পরামর্শ মাথায় রাখা উচিত:
- দলবদ্ধ ভ্রমণ: রাতে একা ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন এবং দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করুন।
- দরকারী ডকুমেন্ট: আপনার পাসপোর্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের কপি রাখুন।
- স্থানীয় আইন: স্থানীয় আইন ও নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
ওয়ার্ক পারমিট হিসাবে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায়
নেদারল্যান্ডস, ইউরোপের একটি উন্নত দেশ, যা তার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উচ্চ মানের জীবনযাত্রা, এবং কর্মক্ষেত্রের বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এ কারণে, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ নেদারল্যান্ডসে কাজের সুযোগের খোঁজে যান।
নিম্নে আমরা বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয়তা, এবং বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
আরও আর্টিকেলঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ওয়ার্ক পারমিটের প্রকারভেদ
নেদারল্যান্ডসে কাজ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়:
- Highly Skilled Migrant Visa: উচ্চ শিক্ষিত পেশাজীবীদের জন্য।
- EU Blue Card: উচ্চ শিক্ষিত এবং উচ্চ বেতনের কর্মীদের জন্য।
- Regular Work Permit (TWV): নিয়মিত কর্মসংস্থানের জন্য।
- Intra Corporate Transferee (ICT) Permit: এক কোম্পানি থেকে অন্য দেশে বদলি হওয়ার জন্য।
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্যতা
নেদারল্যান্ডসে কাজ করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়:
- কাজের প্রস্তাব: প্রথমেই আপনাকে একটি ডাচ কোম্পানি থেকে কাজের প্রস্তাব পেতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা যাচাই করা হবে।
- আর্থিক সক্ষমতা: আপনাকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।
- ভাষাগত দক্ষতা: ইংরেজি বা ডাচ ভাষায় দক্ষ হতে হবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এখানে ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়ার বিবরণ দেওয়া হল:
- কাজের প্রস্তাব পত্র: প্রথমে আপনাকে একটি ডাচ কোম্পানি থেকে কাজের প্রস্তাব পেতে হবে।
- কাজের চুক্তি: কাজের চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে, যা আপনার কাজের শর্তাবলী এবং বেতন নির্ধারণ করবে।
- আবেদনপত্র পূরণ: নেদারল্যান্ডসের ইমিগ্রেশন এবং ন্যাচারালাইজেশন সার্ভিস (IND) ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট জমা: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, কাজের চুক্তি, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, এবং আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ জমা দিতে হবে।
- ভিসা ফি প্রদান: প্রয়োজনীয় ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
- আবেদন প্রক্রিয়াকরণ: আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সময় সাধারণত ৯০ দিন পর্যন্ত হতে পারে।
আবাসন ব্যবস্থা
নেদারল্যান্ডসে কাজ করতে গেলে আবাসন ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু প্রধান বিকল্প হল:
- কোম্পানির আবাসন ব্যবস্থা: কিছু কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করে দেয়।
- স্বতন্ত্র আবাসন: আপনি চাইলে নিজের জন্য বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেন। বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ মামলা থাকলে ও এখন বিদেশ যেতে পারবেন, নতুন নিয়ম জানুন
স্বাস্থ্য বীমা
নেদারল্যান্ডসে কাজ করার সময় স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক। কিছু প্রধান স্বাস্থ্য বীমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হল:
- CZ
- Menzis
- VGZ
পরিবার নিয়ে আসার সুযোগ
নেদারল্যান্ডসে কাজ করার সময় আপনি আপনার পরিবারকেও সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেন। এর জন্য আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা ভিসা আবেদন করতে হবে।
কাজের পরিবেশ ও সুযোগ
নেদারল্যান্ডসে কাজ করার সময় আপনি একটি আধুনিক এবং উদ্ভাবনী কাজের পরিবেশ পাবেন। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য রয়েছে। কিছু প্রধান কর্মক্ষেত্রের সুবিধা হল:
- কর্মক্ষেত্রের বৈচিত্র্য: নেদারল্যান্ডসে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজ করতে আসে, যা কর্মক্ষেত্রের বৈচিত্র্য বাড়ায়।
- উন্নত জীবনযাত্রা: উচ্চ মানের জীবনযাত্রা এবং সামাজিক সুবিধা।
- কর্ম-জীবন সমন্বয়: কর্মক্ষেত্রে সময় এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সমন্বয়।
নিরাপত্তা ও পরামর্শ
নেদারল্যান্ডসে কাজ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত:
- স্থানীয় আইন ও নিয়ম মেনে চলা: স্থানীয় আইন এবং নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- পাসপোর্ট ও ডকুমেন্টের কপি রাখা: আপনার পাসপোর্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের কপি রাখুন।
- সামাজিক যোগাযোগ: স্থানীয়দের সাথে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা।
আরও জানুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
নেদারল্যান্ডসে ভিসা আবেদন লিংক
উপসংহার
নেদারল্যান্ডসে উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, এবং কাজের জন্য যাওয়া বাংলাদেশী মানুষের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। উচ্চ মানের শিক্ষা, সুন্দর ভ্রমণ স্থান, এবং উন্নত কর্মসংস্থান সুবিধা এই দেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।
সঠিক তথ্য এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনি সহজেই নেদারল্যান্ডসে যেতে পারেন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। আমাদের আজকের বিষয় ছিল বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। আশাকরি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
আর ও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশ থেকে অ্যান্ডোরা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে চেক প্রজাতন্ত্র যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে স্লোভেনিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যাওয়ার উপায়
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে রিসার্স করে সবার উপকারের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল নিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ ও কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected] ধন্যবাদ।
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |